১০ কাঠা জমির উপর তৈরি হয়েছে এই বাড়ি।
শান্তিনিকেতনের সেই ‘অপা’র মালিক শুধুই ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন। বাড়ির দলিল দেখে জানালেন বোলপুরের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ এবং অর্পিতাকে জেরা করে শ্যামবাটির এই বাড়ির খোঁজ পান ইডি আধিকারিকেরা। অনেকেরই দাবি, অর্পিতা এবং পার্থের নামের আদ্যক্ষর জুড়ে নামকরণ এই বাড়ির।
বোলপুরের ভূমি ও রাজস্ব দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রান্তিকের ফুলডাঙায় ০.১৭ একর (১০ কাঠার বেশি) জমির উপর রয়েছে ‘অপা’ নামের সেই বাড়ি। ২০১২ সালে কলকাতার বাসিন্দা সুষেণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে জায়গাটি কেনা হয়েছিল। ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর খতিয়ান রেকর্ড হয়। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে প্রায়ই ওই বাড়িতে যাতায়াত করতে দেখা যেত। তবে পার্থকে কেউ কখনও দেখেননি। শনিবার বোলপুরের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সঞ্জয় রায় বাড়ির দলিলের খতিয়ান দেখে বলেন, ‘‘শ্যামবাটি মৌজায় ১৯২৯ খতিয়ানটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, মাতা মিনতি মুখোপাধ্যায়ের নামে রেকর্ড রয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ওই বাড়ির জমির খতিয়ান তৈরি হয়েছিল।’’ সঞ্জয়ের কথা থেকে স্পষ্ট, ওই নথিতে পার্থের নাম নেই।
এই বাড়ির মালিকানা শুধুই অর্পিতার নামে।
গত ২২ জুলাই পার্থের নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাঁকে জেরা করে ওই দিন সন্ধ্যায় অর্পিতার টালিগঞ্জের আবাসনে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা, ৭৯ লক্ষ টাকার গয়না এবং মোবাইল ফোন। বেশ কিছু নথিও উদ্ধার হয়। ইডি দাবি করে, অর্পিতা ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’।
অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ওই সব নথির ভিত্তিতেই কলকাতা, শান্তিনিকেতন-সহ রাজ্যে একাধিক জায়গায় বেশ কিছু জমি ও বাড়ির খোঁজ মিলেছে। সেগুলির প্রায় সব ক’টিরই মালিকানা অর্পিতার নামে। সেগুলিতে পার্থের নাম ছিল না। এ বার শান্তিনিকেতনের বাড়ির মালিকানাও দেখা গেল অর্পিতারই নামে। আপাতত অর্পিতা-পার্থ ইডির হেফাজতে রয়েছেন। আদালতের নির্দেশে ৩ অগস্ট পর্যন্ত তাঁরা ইডি হেফাজতেই থাকবেন।