বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।—ছবি সংগৃহীত।
জেলা পরিষদের কাজ সামলাতে তৎপর হলেন জেলাশাসকই। তিনি নিজেই বসবেন জেলা পরিষদে।
মঙ্গলবার থেকে টানা ছ’মাসের জন্য ছুটি নিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। তাঁর বদলে দায়িত্ব সামলাবেন সহকারি সভাধিপতি নন্দেশ্বর মণ্ডল। এই টানাপড়েনের মাঝে জেলা পরিষদের কাজ চালাতে বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য এগিয়ে এলেন জেলা পরিষদের এগজিকিউটিভ অফিসার তথা বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। তিনি জানান, এ বার জেলা পরিষদে বসে মাঝেমধ্যেই কাজ দেখাশুনা করবেন তিনি। জেলাশাসক বলছেন, ‘‘জেলা পরিষদের এগজিকিউটিভ অফিসার হিসেবে আমার মনে হয়েছে, এই সময় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বা কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমার সাহায্য প্রয়োজন। তাতে কর্মী-আধিকারিক সকলেরই সুবিধে হবে।’’ জেলা পরিষদের আধিকারিক ও নির্বাচিত সদস্যদের অনেকেই বলছেন, জেলা পরিষদে বসে জেলাশাসক কাজ দেখাশুনা করছেন, বীরভূম জেলা পরিষদে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। জেলাশাসক নিজে জেলা পরিষদে এসে বসবেন, তা শোনার পরই তাঁর জন্য একটি ঘর গুছিয়ে রাখা হয়েছে বুধবারই। জেলাশাসক বলছেন, ‘‘অন্য জেলায় জেলা পরিষদে এগজিকিউটিভ অফিসারের জন্য নির্ধারিত ঘর থাকলেও বীরভূম জেলা পরিষদে তা ছিল না। তাই সেক্রেটারির ঘরটাই ঠিক করে রাখতে বলেছি। বৃহস্পতিবার থেকেই মাঝেমধ্যে বসব।’’
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথম বার বীরভূমের জেলা পরিষদের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। সেই থেকে সভাধিপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিকাশবাবু। তাঁর নেতৃত্বাধীন জেলা পরিষদ কাজের নিরিখে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে সেরার পুরস্কার পেয়েছে।