আইআইটির ডিরেক্টরের সঙ্গে পিচাই দম্পতি। ছবি: খড়্গপুর আইআইটি-র সৌজন্যে।
তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনী। বর্তমানে গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেটের সিইও। খড়্গপুর আইআইটি-র সেই কৃতী সুন্দর পিচাইয়ের হাতে সাম্মানিক ‘ডক্টর অব সায়েন্স’ (ডিএসি) ডিগ্রি তুলে দিলেন খড়্গপুর আইআইটি-র ডিরেক্টর বীরেন্দ্রকুমার তিওয়ারি। বৃহস্পতিবার সান ফ্রান্সিসকোয় সেই অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের আর এক প্রাক্তনী, সুন্দরের স্ত্রী অঞ্জলিকেও দেওয়া হয়েছে ‘ডিস্টিংগুইশড অ্যালামনি অ্যাওয়ার্ড’। সকলের মাঝে সুন্দর বলেছেন, “খড়্গপুর কা টেম্পো হাই হ্যায়!”
সুন্দর ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি দু’জনেই খড়্গপুর আইআইটি থেকে ১৯৯৩ সালে বিটেক পাশ করেছিলেন। ধাতুবিদ্যা বিভাগের ছাত্র ছিলেন সুন্দর। আর অঞ্জলি পড়তেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। আইআইটিতেই দু’জনের পরিচয়। পরে বিয়ে।
এর আগে সুন্দরকে ‘ডিস্টিংগুইশড অ্যালামনি অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে আইআইটি। ২০১৭ সালে খড়্গপুরে ক্যাম্পাসে এসে সেই সম্মান নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সাল থেকে প্রায় এক দশক গুগলের মূল সংস্থার সিইও পদে থেকে ডিজিটাল রূপান্তর, সাশ্রয়ী প্রযুক্তির উপরে নানা আবিষ্কার করে চলেছেন সুন্দর। অঞ্জলিও একাধিক বহুজাতিক সংস্থায় বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ ও সফটওয়্যার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের এই কর্মকাণ্ডকে সম্মান জানিয়েই এই সম্মান প্রদান
করা হয়েছে।
গত ডিসেম্বরেই এই সম্মান দেওয়ার কথা ছিল সুন্দরকে। ১৮ ডিসেম্বর আইআইটির ৬৯তম সমাবর্তনে সুন্দরের অনুপস্থিতিতে এই ডক্টর অব সায়েন্স ডিগ্রির কথা জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তখন সুন্দর আসতে না পারায় এ বার সান ফ্রান্সিসকো গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর হাতে সম্মান তুলে দেওয়া হল। সুন্দর ও অঞ্জলি ছাড়াও অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তাঁদের কন্যা ও অন্য পরিজনেরা। উপস্থিত ছিলেন আইআইটি-র প্রাক্তনী বিনোদ গুপ্ত, রণবীর গুপ্ত প্রমুখ।
সেই মঞ্চে সুন্দরের স্বীকারোক্তি, “আইআইটি খড়্গপুর আমার হৃদয়ে বিশেষ স্থানে রয়েছে। সেখানেই অঞ্জলির সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয়। এটা আমার দ্বিতীয় বাড়ি, যেখানে আমি বড় হয়েছি।” তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার পরিবার ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে ডিরেক্টর বীরেন্দ্রকুমার তিওয়ারির হাত থেকে এই সম্মান পেয়ে আমি ধন্য ও কৃতজ্ঞ। আজকের এই অনুষ্ঠান সেই তরুণ ছেলেটার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে, যে বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল। আমি এখনও সেই চেষ্টা করে চলেছি।’’