—ফাইল চিত্র।
বিরোধীদের প্রতি হুমকির ধারা অব্যাহত রাখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আইসিসিআর-এ সোমবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে দলীয় কর্মশালায় তিনি বলেন, ‘‘যে সরকার পাকিস্তানের বদমাইশি বন্ধ করার জন্য এয়ার স্ট্রাইক, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করতে পারে, তার আমলে ভেবেচিন্তে কাজ করা উচিত। না হলে অসম, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটকে যেমন বিরোধীদের লাশ গুনতে হচ্ছে, তেমন সারা দেশে গুনতে হবে।’’ সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কোথাও কোথাও যে অশান্তি হয়েছে, তাকে বিরোধীদের মদতপুষ্ট সমাজবিরোধী এবং দেশদ্রোহীদের গুন্ডামি বলে মন্তব্য করেন দিলীপবাবু।
তৃণমূল অবশ্য দিলীপবাবুর হুমকিকে গুরুত্বই দিচ্ছে না। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিলীপবাবুর ওই সব কথাই তাঁর শিক্ষা ও জ্ঞানের পরিচয়। মানুষ যখন ওঁদের মুছে ফেলতে চাইছেন, তখন কুৎসিত কথা বলে সংবাদমাধ্যমের প্রচার পেতে চাইছেন ওঁরা। মানুষই এর জবাব দেবেন। ওঁকে মানুষই পাগলাগারদে পাঠাবেন।’’
বিরোধীদের প্রতি দিলীপবাবুর হুমকির প্রতিক্রিয়ায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা এমন ভাবে কথা বলছেন, তাতেই সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। এ নিয়ে যত কম আলোচনা করা যায়, তত ভাল।’’
আরও পড়ুন: ‘দেশে বিজেপিকে একা করে দিন’, আহ্বান মমতার
আইসিসিআর-এ এ দিনের বৈঠকে জেলা সভাপতি ও পর্যবেক্ষক এবং অঞ্চল পর্যবেক্ষকদের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন, অন্তত এক কোটি মানুষের বাড়ি গিয়ে তাঁদের বোঝাতে হবে, সিএএ কত ভাল। বিরোধীদের তোলা প্রশ্নগুলির জবাব দিতে হবে মানুষের কাছে। তার জন্য তৈরি হয়েছে লিফলেট এবং বুকলেট। আগামী বৃহস্পতিবার মণ্ডল এবং জেলা সভাপতিদের নিয়ে একই কর্মশালা করবে বিজেপি।
এ দিন বারুইপুরের রবীন্দ্র ভবনের কাছে জনসভায় যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়ে দিলীপবাবুর কনভয়। তাঁর উদ্দেশে ‘গো ব্যাক স্লোগান’ দিয়ে কালো পতাকা দেখান এক দল যুবক। পুলিশ তখন দিলীপবাবুর গাড়ি বারুইপুর উড়ালপুলে তুলে দেয়। এর পরই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় জনসভা করেন দিলীপবাবু।