ছবি: সংগৃহীত।
তৃণমূল ছাড়ার পর থেকে প্রায় রোজই বিজেপি-র প্রশংসা করছেন মুকুল রায়। এ বার বিজেপি-ও পাল্টা শংসাপত্র দিল তাঁকে! বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রবিবার বললেন, ‘‘ভিডিও ফুটেজে (নারদ-কাণ্ড) মুকুল রায়কে টাকা নিতে দেখা যায়নি। আর সিবিআই তথ্য জানার জন্য কাউকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে। সিবিআই ডাকলেই কেউ অভিযুক্ত বা দোষী হয়ে যায় না। দোষ প্রমাণিত না হলে কাউকে দোষী বলা যায় না।’’
আরও পড়ুন: যুবনেতার বিদ্রোহে কি মুকুল-যোগ!
মুকুলবাবু বিজেপি-তে এলে দলের কি লাভ হবে? দিলীপবাবুর জবাব, ‘‘বিজেপি-র লাভ-ক্ষতি পরে ভাবা যাবে। তৃণমূলের কী হবে, ক্ষতি হবে কি না, সেটা বরং তারা ভাবুক!’’ তবে মুকুলবাবুকে দলে স্বাগত জানাতে চাইছেন কি না জানতে চাওয়া হলে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘উনি তো কোনও প্রস্তাব দেননি। প্রস্তাব দিলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা বিবেচনা করবেন।’’ সূত্রের খবর, মুকুল এ দিনই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেছেন।
শেষ পর্যন্ত মুকুল কী করবেন, তা নিয়ে জল্পনা থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদে সন্তোষ গোপন করছেন না বিজেপি নেতারা। দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ যেমন এ দিনই বহরমপুরে বলেছেন, ‘‘মুকুল রায়ের তৃণমূল থেকে বেরিয়ে আসা দিয়ে ওই দলের বিনাশ শুরু হয়েছে। আগামী দিনে তা আরও ত্বরান্বিত হবে!’’ আর এক নেতা শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্য, ‘‘কার চুল এলোমেলো, তাতে কী এসে গেল? পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ বিজেপি-ই।’’
মুকুলবাবু কংগ্রেসে যাচ্ছেন কি না, সেই চর্চাও জারি আছে! পুরুলিয়ায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অবশ্য বলেন, ‘‘আমার এ রকম কিছু জানা নেই। শনিবার দিল্লিতে ওঁর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওঁকে তৃণমূল ভয় পাচ্ছে!’’
দিলীপবাবু এ দিন নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীরও প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী দক্ষিণবঙ্গের জনপ্রিয় নেতা, সন্দেহ নেই। তিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সামনের সারিতে না থাকলে তৃণমূল হয়তো ক্ষমতাতেই আসত না।’’ যা জেনে শুভেন্দুবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি তৃণমূলের শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিক। অন্য কারও কাছ থেকে আমরা সার্টিফিকেট দরকার নেই!’’ মন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘‘সিপিএমের বিরুদ্ধে যখন লড়াই করেছিলাম, তখম বাম সরকার নানা রকম সংস্থাকে লাগিয়েছিল। কিন্তু মাথা নত করাতে পারেনি। এখন বিজেপি-ও পারবে না।’’