ডানকুনি স্টেশনের ‘রিলে রুম’-এ প্রবেশ করতে গেলে এ বার খুলতে হবে ডিজিটাল তালা। —নিজস্ব চিত্র।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর প্রাথমিক তদন্তে সিগন্যাল ব্যবস্থা ত্রুটির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। রহস্য ঘনীভূত হচ্ছিল বাহানগা বাজার স্টেশনের ‘রিলে রুম’কে কেন্দ্র করে। এ বার সেই আবহেই পূর্ব রেল বিভিন্ন স্টেশনের ‘রিলে রুম’-এ বসাচ্ছে ডিজিটাল তালা। রেলের সার্ভারে যাঁদের নাম থাকবে, তাঁরাই কেবল আইডি-পাসওয়ার্ড দিয়ে সেখানে ঢুকতে পারবেন। বৃহস্পতিবার ডানকুনি স্টেশনের ‘রিলে রুম’ দিয়ে পূর্ব রেল ওই ‘ডিজিটাল তালা’ বসানোর কাজ শুরু করল।
‘রুট রিলে ইন্টারলকিং’ (আরআরআই) পদ্ধতিতেই ভারতীয় রেলের প্রায় সব জায়গাতেই সিগন্যাল হয়। স্টেশন মাস্টারের ‘প্যানেল রুম’ সংলগ্ন ‘রিলে রুমে’ থাকে ‘রিলে বক্স’। এত দিন ‘রিলে রুমে’ ছিল ‘প্যাড লক’। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অমরপ্রকাশ দ্বিবেদীর তত্ত্বাবধানে হাওড়া ডিভিশনের ডানকুনি স্টেশনে ‘রিলে রুমে’ বৃহস্পতিবার বসানো হল ডিজিটাল তালা।
রেল জানিয়েছে, স্টেশনের ‘রিলে রুম’ অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং সংরক্ষিত জায়গা। করমণ্ডলকাণ্ডের পর রহস্য ঘনীভূত হয়েছে ওড়িশার বাহানগা স্টেশনের ‘রিলে রুম’কে ঘিরে। সেই আবহেই বৃহস্পতিবার ডানকুনি স্টেশনের রিলে রুমে ডিজিটাল তালা লাগানো হয়। পূর্ব রেলের জিএম জানিয়েছেন, এ বার পূর্ব রেলের সব স্টেশনেই ওই তালার ব্যবহার করা হবে। সার্ভারে যে কর্মীদের নাম সেভ করা থাকবে, একমাত্র তাঁরাই আইডি এবং ওটিপি (এককালীন পাসওয়ার্ড)-র মাধ্যমে ডিজিটাল তালা খুলে রিলে রুমে প্রবেশ করতে পারবেন। অ্যানড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমে রিলে রুমের ওই তালা কাজ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কে, কখন দরজা খুলছেন, তা সার্ভারে সেভ করা থাকবে। যত বার রিলে রুমের দরজা খোলা হবে, তত বার সংশ্লিষ্ট রেলকর্মী (যাঁদের দরজা খোলার এক্তিয়ার থাকবে)-দের কাছে মেসেজ যাবে। রিলে রুমে যদি আগুন লাগে সে ক্ষেত্রে নিজে থেকেই ওই তালা খুলে যাবে বলেও জানিয়েছে রেল।