গড়িয়াহাটে কংগ্রেসের প্রতিবাদ। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের বর্যপূর্তির দিনে পথে নামল বিভিন্ন দল ও গণসংগঠন। কোথাও ডাক দেওয়া হল, ‘কপোর্রেট কোম্পানি ভারত ছাড়ো’, কোথাও স্লোগান উঠল ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’। জাতীয় স্তরেই সোমবার ‘দেশ বাঁচাও’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনগুলি। তারই অঙ্গ হিসেবে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হয়েছে কলকাতা-সহ এ রাজ্যের নানা জেলায়। বাম ছাত্র ও যুবদের আইন অমান্য কর্মসূচিও ছিল জেলায় জেলায়।
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এ দিন মৌলালি মোড়ে কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির রাজ্য শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়েছিল বিভিন্ন সংগঠন, এসেছিলেন শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের অনেকে। দিল্লির যন্তর মন্তরে চলতে থাকা ‘কিষাণী সংসদ’-এর প্রতি সংহতি জানাতে কলকাতার সমাবেশে ছিল বিভিন্ন মহিলা সংগঠনও। কৃষক সংগঠনগুলির পক্ষে সঞ্জয় পূততুণ্ড, কার্তিক পাল, সমীর পূতুতুণ্ড, অভীক সাহা, সুশান্ত ঝা প্রমুখ এবং মহিলা সংগঠনের তরফে ইন্দ্রাণী দত্ত, শিখা সেনেরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন। একই দাবিতে ধর্মতলায় বিক্ষোভ করে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানো হয় বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের ডাকে। ওই প্রতিবাদে ছিল সিটু, আইএনটিইউসি-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন।
বামেদের প্রতিবাদ। নিজস্ব চিত্র।
গড়িয়াহাট মোড়ে এ দিন ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো, মোদীজি গদি ছাড়ো’র ডাক দিয়ে বিক্ষোভ-সভা হয় দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের ডাকে। পেট্রল-ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষি আইন, আড়ি পাতার পেগাসাস-কাণ্ড, করোনার প্রতিষেধকের পর্যাপ্ত জোগানের অভাব-সহ নানা প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ওই সভা থেকে সরব হন কংগ্রেস প্রদীপ প্রসাদ, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, সুবীর চৌধুরীরা। পোড়ানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল। নাগেরবাজারেও কংগ্রেসের বিক্ষোভ-সভা হয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা (শহরাঞ্চল) সভাপতি তাপস মজুমদারের নেতৃত্বে। অনলাইন সভা থেকে এ দিনই এসইউসি-র রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য আগামী ১৫ অগস্ট ‘গণমুক্তি সংকল্প দিবস’ হিসেবে পালনের ডাক দেন। রাজ্যের সর্বত্র ওই দিবস পালনের ডাক দিয়ে এসইউসি-র প্রচার কর্মসূচি চলবে এ দিন থেকে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত।