ফাইল চিত্র।
দেড় লক্ষ টাকায় বিশেষ সেলুনকার ভাড়া করে উত্তরবঙ্গ সফরে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শনিবার সকালে বিশেষ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে চাপেন তিনি। মাঝে মালদহে বিজেপির নেতা, সাংসদের সঙ্গে দেখা করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন। সন্ধ্যায় তিনি শিলিগুড়ি পৌঁছন। আজ, রবিবার সকালে তাঁর দার্জিলিং যাওয়ার কথা। বিমল গুরুংকে নিয়ে যখন ফের উত্তপ্ত পাহাড়, সেই সময় দার্জিলিঙে কাটাতে এসেছেন রাজ্যপাল। এনজেপি স্টেশনে নেমে তিনি জানান, এখানে দু’সপ্তাহ থাকবেন। যদিও তাঁর সরকারি সফরসূচিতে এক মাস বলা রয়েছে।
ধনখড় সাধারণত বিমানেই উত্তরবঙ্গে যান। সূত্রের খবর, এ বারে ট্রেনে যাওয়া হবে ঠিক হলে প্রথমে জানতে চাওয়া হয়, পদাতিক এক্সপ্রেসে তিনি যাবেন কি না। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল জানান, তিনি দিনের বেলার যাত্রাতেই আগ্রহী। সেই মতো সেলুনকারটি ‘বুক’ করা হয়। রাজভবন সূত্রে খবর, ফেরার দিন, ১ ডিসেম্বর তিনি এমনই সেলুনকারে কলকাতা ফিরবেন।
মালদহে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু। রাজ্যপাল সেখানে সাংবাদিকদের সামনে বিভিন্ন প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। কখনও বলেন, ‘‘গোর্খাল্যান্ড সমস্যার সমাধান নিশ্চয়ই হবে। জানতে হবে, কে এই সমাধান করতে পারেন। ৩৭০ ধারা, রামমন্দিরের মতো সমস্যার সমাধানও তো এত দিন পরে হয়েছে।’’ কখনও জানান, তিনি চা শ্রমিক, পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত লোকজন, উপাচার্য— সবার সঙ্গে দেখা করবেন। আমলাদের ঘুরিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁর বার্তা, দলের হয়ে কাজ করবেন না।
আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক চাপ সামলে কি ঠেকানো যাবে বাজি-দূষণ’
আরও পড়ুন: গয়না কিনতে গিয়ে জাল নোট দিয়ে গ্রেফতার
আবার মালদহ ডিভিশনে যে একাধিক স্টেশনে ভাঙচুর হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে জন্য রেলকর্তাদের সতর্ক করেছেন। মালদহের তৃণমূল নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘পরিযায়ী, হাথরস, খাদ্যসূচকের মতো সমস্যাগুলির কী সমাধান হয়েছে, সেটাও উনি আমাদের জানাতে পারতেন!’’