মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে কর্মী-সহায়িকাদের বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।
যাঁদের পঁয়ষট্টি বছর বয়স হয়ে গিয়েছে সেই সব অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সহায়িকাদের আর কাজে নিযুক্ত রাখা যাবে না। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন মহকুমার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। এ দিন সকাল ১১টা তেকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অবস্থান বিক্ষোভ, ধর্না চলে। পরে বিক্ষোভকারীরা একাধিক দাবি সংবলিত স্মারকলিপি মহকুমাশাসকের দফতরে জমা দেন।
এ দিন ওই কমর্ীর্রা দাবি করেন, সরকার আগাম কিছু না জানিয়ে ৬৫ বছর বয়সের কর্মী-সহায়িকাদের ছাঁটাইয়ের নিদের্শ দিয়েছে। এটা তাঁরা মানবেন না। যদি ছাঁটাই করতেই হয় তাহলে তাঁদের ৩ তেকে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিতে হবে। ছাঁটাইয়ের পরে ওই সব কর্মী-সহায়িকাদের বর্তমান সাম্মানিক ভাতার অর্ধেক ভাতা দিতে হবে। তাঁদের আরও দাবি, যাঁদের ছাঁটাই করা হবে তাঁদের পরিবরের কোনও মহিলাকে ওই পদে নিতে হবে।
এ দিন বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মন্দিরা মণ্ডল, আভা ভদ্ররা বলেন, “সরকার আগাম কিছু না জানিয়ে যে ভাবে ৬৫ বছর বয়সের কর্মী-সহায়িকাদের ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অমানবিক। ওই সমস্ত কর্মী-সহায়িকাদের এককালীন কিছু টাকা এবং সাম্মানিক ভাতার দাবিতে আমাদের এই আন্দোলন। আমাদের দাবি পূরণ না হলে ভোট নয়।” মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, “কিছু দাবি নিয়ে অঙ্গনওয়ানি কর্মীরা স্মারকলিপি দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।”