ডায়মন্ড হারবারে অধীর।—নিজস্ব চিত্র।
২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার পরে মোদীকে ফুল পাঠিয়েছিলেন মমতা। তিনিই এখন বিজেপিকে দাঙ্গাবাজ দল বলছেন। সোমবার বিকেলে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী কামারুজ্জামান কামারের হয়ে প্রচারে এমনই অভিযোগ তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।
পুলিশ জানায়, সরিষা হাইস্কুল মাঠে ওই জনসভায় প্রায় চার হাজার লোকের ভিড় হয়েছিল। পরে কুলপির বিবেক ময়দানে মথুরাপুর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মনোরঞ্জন হালদারের সমর্থনেও সভা করেন অধীর।
রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থার সমালোচনা করে অধীর বলেন, “কলকাতা শহরে মা ও দুই মেয়েকে খুন করে মাটিতে পুঁতে ফেলল। কোন জমানায় বাস করছি? আইনের শাসন আর নেই। নারী নির্যাতনে রাজ্যকে প্রথম স্থানে নিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে মেয়ে হয়েও মেয়েদের সম্মান রক্ষা করতে পারেন না। অন্য রাজ্যে অন্যায় করলে সাজা হয়। এখানে হয় না। এখানে তৃণমূলকে ধরলেই সব মাফ। উনি বিজেপিকে দাঙ্গাবাজ বলছেন। দাঙ্গার পরে মুকুল রায়কে দিয়ে মোদীকে ফুল পাঠিয়েছিলেন। এখন দ্বিচারিতা করছেন।”
পাশাপাশি অধীরের দাবি, বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি করছে রাজ্য সরকার। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকার নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রীদের সাইকেল কেনার জন্য তিন হাজার টাকা করে দিচ্ছে। অথচ এখানে আড়াই হাজার টাকা দামের সাইকেল বিতরণ করা হচ্ছে।” সারদা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “১৮ হাজার কোটি টাকার চিটফান্ড কেলেঙ্কারি হল। অথচ কেন্দ্রের এনফোর্সমেন্ট শাখা রাজ্যকে আগে জানানো সত্ত্বেও রাজ্য ব্যবস্থা নেয়নি।”
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, একই সুরে কথা বলছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। তাঁর কটাক্ষ, “চাচাবাবু যা বলছেন, খোকাবাবু তা বলছেন।”