বিধায়কের নাম ভাঁড়িয়ে ১০০ ডায়ালে কটূক্তি, ধৃত আরামবাগে

দলীয় বিধায়কের নাম করে প্রথমে ‘১০০ ডায়াল’-এ কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের এবং পরে এসডিপিও-কে কটূক্তি করার অভিযোগে আরামবাগের এক সক্রিয় তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার দুপুরে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে ফইজুদ্দিন খান নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে ধরা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৪ ০০:৫৭
Share:

আদালতের পথে ধৃত তৃণমূলকর্মী ফইজুদ্দিন।—নিজস্ব চিত্র।

দলীয় বিধায়কের নাম করে প্রথমে ‘১০০ ডায়াল’-এ কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের এবং পরে এসডিপিও-কে কটূক্তি করার অভিযোগে আরামবাগের এক সক্রিয় তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার দুপুরে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে ফইজুদ্দিন খান নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে ধরা হয়। তাঁর বাড়ি আরামবাগের দাদনপুর গ্রামে।

Advertisement

দলীয় কর্মীর এই কর্মকাণ্ডে বিরক্ত আরামবাগের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, “আমি বিষয়টি শোনামাত্র প্রশাসনকে বলেছি আইনগত কড়া ব্যবস্থা নিতে।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অবাঞ্ছিত প্রচুর ফোনের কারণেই ‘১০০ ডায়াল’ পরিষেবাটি সম্প্রতি আরামবাগ থানা থেকে এসডিপিও-র দফতরে সরিয়ে আনা হয়। শনিবার ঝড়বৃষ্টির পর অনেক ক্ষণ বিদ্যুত্‌ সরবরাহ ছিল না আরামবাগের নানা এলাকায়। রাত পৌনে ৮টা নাগাদ ‘১০০ ডায়াল’-এ ফোন করে এক যুবক প্রথমে বিদ্যুত্‌ সংযোগ চান। তার পরে চলতে থাকে কটূক্তি। তার পরে বিধায়কের নাম ভাঁড়িয়েও কটূক্তি চলে। এর পরে কয়েক মিনিটের বিরতি। তার পরে ফের একই নম্বর থেকে ফোন করা হলে এসডিপিও শিবপ্রসাদ পাত্র ধরেন। তাঁকেও কটূক্তি করা হয়। জানা যায়, ফোন আসছে মোবাইল থেকে। এর পরেই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে দাদনপুর গ্রামে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু সেই সময়ে ফইজুদ্দিনকে ধরা যায়নি।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ১০০ ডায়ালের অপব্যবহার নিয়ে আরামবাগে পুলিশ কর্মীদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। তাঁদের বক্তব্য, সারাদিনে যা ফোন আসে তার পঁচানব্বই শতাংশই ভুয়ো। এ নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন থেকে প্রচারও চালানো হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement