ষণ্ডালিয়া স্টেশনে অবরোধে আটকে ট্রেন।
দিন কয়েক আগে শিলাবৃষ্টিতে তাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙেছে। নষ্ট হয়েছে জমির ফসল। কিন্তু নির্বাচন থাকায় প্রশাসন ত্রাণ বিলি করছে না বলে অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনায় সড়ক ও ট্রেন অবরোধ করলেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ শাসন এলাকার ষণ্ডালিয়া স্টেশনে ট্রেন এবং আমিনপুর-খড়িবাড়ি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো দুর্গত মানুষ। খবর পেয়ে স্টেশনে পৌঁছন শাসন থানার আইসি নাসিম আখতার। ট্রেন বন্ধ থাকলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হবে বলে অবরোধকারীদের বোঝালে পুলিশের চেষ্টায় দু’ঘণ্টা পরে রেল অবরোধ উঠে যায়। কিন্তু বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে ছিল সড়ক। শেষ পর্যন্ত বারাসত-২ এর যুগ্ম বিডিও জয়দীপ চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, “দু-এক দিনের মধ্যেই যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের চাল, পলিথিন দেওয়া যায় সে জন্য চেষ্টা করা হবে।” তাঁর প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
পথ অবরোধ।—নিজস্ব চিত্র।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রবল ঝোড়ো হাওয়া ও সেইসঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। একটু পরেই বৃষ্টির সঙ্গে আকাশ থেকে নেমে আসতে থাকে বড় বড় শিলের টুকরো। শিলের আঘাতে ভেঙে পড়ে প্রচুর ঘরবাড়ির টালি, অ্যাসবেস্টসের চাল। জখমও হন অনেকে। নষ্ট হয় আম, জমির সব্জি, ধান। দেগঙ্গা এবং বারাসতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ঝড়, শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হন প্রচুর মানুষ। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এ দিন আখতার মণ্ডল, নাসিরুদ্দিন হক বলেন, “ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আমাদের ঘরের টালির চাল ভেঙেছে। অবিলম্বে পলিথিন ও চাল দরকার।” নাজমা খাতুন, লালমণি বিবি বলেন, “ঘরদোর সব নষ্ট হয়েছে। ঘরে খাবার-দাবার নেই। খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাতে হচ্ছে। অথচ প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে নির্বাচন বিধির জন্য ত্রাণ মিলবে না। কিন্তু আমরা বাঁচব কী করে?”