আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে গৃহকর্তা-সহ পাঁচ জনকে বেঁধে ফেলে একটি বাড়ি থেকে কয়েক ভরি গয়না এবং কয়েক হাজার টাকা লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে হালিশহরের যদুনাথবাটি এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। উদ্ধার করা যায়নি খোওয়া যাওয়া গয়না বা টাকা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁর বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে, তিনি প্রাক্তন রেলকর্মী রতন দে। যদুনাথবাটির মাঝেরপাড়ায় দোতলা বাড়িতে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী এবং ছেলে-বউমাকে নিয়ে থাকেন। বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ একতলায় গ্রিলের তালা ভাঙে দুষ্কৃতীরা। আওয়াজ পেয়ে ঘুম ভেঙে যায় রতনবাবুর স্ত্রী তাপসীদেবীর। তিনি বেরিয়ে দেখেন দুষ্কৃতীরা দরজা ভাঙার উপক্রম করেছে। ভয়ে তিনি দরজা খুলতেই তারা হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। তাপসীদেবীর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তারা তাঁকে, রতনবাবুকে এবং তাঁর বৃদ্ধা মাকে বেঁধে ফেলে। তার পরে আলমারির চাবি নিয়ে টাকা ও গয়না হাতায়। দোতলার ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন রতনবাবুর ছেলে প্রসেনজিৎ ও তাঁর স্ত্রী দীপান্বিতা। ওই ঘরে ঢুকে তাঁদেরও ঘুম থেকে তুলে ডাকাতেরা আলমারি খুলতে বলে। তাঁদেরও বেঁধে ফেলে। আলমারি থেকে গয়না ও টাকা হাতায়।
রতনবাবু বলেন, ‘‘ওরা সংখ্যায় চার জন ছিল। সকলের মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল। পরনে ছিল জিনস আর গেঞ্জি। সকলের বয়স পঁচিশ থেকে সাতাশের মধ্যে। ওদের হাতে বোমাও ছিল। ভয়ে আমরা কেউ কিছু বলিনি। ওরা আমাদের চারটি মোবাইল ফোনও নিয়ে যায়।”
ওই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি নিজের মোটরবাইক বিক্রি করেন রতনবাবু। ঘরে নগদ টাকা ও গয়না আছে এমন খোঁজ রেখেই ডাকাতেরা বাড়িতে চড়াও হয় বলে পরিবারটির অনুমান। সংবাদমাধ্যমের কাছে রতনবাবু দাবি করেছেন, দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ৬০ হাজার টাকা এবং ৩০ ভরি গয়না লুঠ করে। যদিও পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা হাজার তিরিশেক টাকা ও কিছু গয়না লুঠ করেছে। ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান সি সুধাকর জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তাদের চেহারার বর্ণনা নেওয়া হচ্ছে।