ভক্তসমাগম: কল্পতরু উৎসবে জনস্রোত। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে প্রবেশের জন্য লাইন বালি সেতু থেকে। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়
ভোর থেকেই ভিড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। কল্পতরু উৎসব, সেই সঙ্গে নতুন বছরের প্রথম দিনের ছুটি উপভোগ। দক্ষিণেশ্বর, কাশীপুর উদ্যানবাটী ও বেলুড় মঠে বুধবার সারা দিন ঢল নামল ভক্ত ও দর্শনার্থীর।
কাশীপুর উদ্যানবাটীতে ভোর ৪টেয় মঙ্গলারতি, উষাকীর্তন দিয়ে সূচনা হয় কল্পতরু উৎসবের। শ্রীরামকৃষ্ণদেবের বিশেষ পুজো, হোম ও ভক্তিগীতির পাশাপাশি দিনভর চলে অন্যান্য অনুষ্ঠান। ১৮৮৬ সালের এই দিনেই কাশীপুর উদ্যানবাটীতে কল্পতরু হয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। এ দিন সকালে উদ্যানবাটীতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে এ দিন বেলুড় মঠেও বিশেষ পুজো হয়। ভিড় হয় প্রচুর।
কাশীপুর উদ্যানবাটীতে ভক্তের ঢল। বুধবার। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায় এবং দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
দক্ষিণেশ্বর ভবতারিণী মন্দিরে পুজো দিতে লাইন পড়ে ভোরেই। বেলা বাড়তেই সেই লাইন মন্দির-চত্বর ছাড়িয়ে এলাকার বিভিন্ন দিকে চলে যায়। দুপুরে দেখা যায়, বালি ব্রিজ পেরিয়ে লাইন পৌঁছে গিয়েছে প্রায় বালিখাল পর্যন্ত! ভিড় সামলাতে এ দিন ‘স্কাইওয়াক’ একমুখী করে দেওয়া হয়। স্কাইওয়াকের উপর দিয়ে মন্দিরে যাওয়া। ফিরতে হয়েছে তলা দিয়ে। এ দিন দক্ষিণেশ্বর মোড় থেকে স্কাইওয়াকের নীচে মন্দিরের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ।