মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জানিয়েছেন, ডেউচার বাসিন্দারা না-চাইলে সেখানে খনি হবে না এবং মানুষের অমতে জোর করে প্রকল্পের জন্য জমি নেবে না রাজ্য সরকার। এই আশ্বাসের পরেও আপাতত আন্দোলন থেকে সরে না আসার সিদ্ধান্ত বহাল রইল বলে জানা গিয়েছে।\
ফাইল চিত্র।
ডেউচা-পাঁচামির কয়লাখনি প্রকল্প বাতিল করা হচ্ছে, এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি ভাবে ঘোষণা না-করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়ে দিল ‘বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা’।
অথচ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইতিবাচক ‘বার্তা’য় স্বস্তি পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কয়লা খনি গড়ার বিপক্ষে থাকা ওই মহাসভার প্রতিনিধিরা। আশা করা হয়েছিল, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে লাগাতার অন্দোলন ও ধর্না থেকে সরে আসতে পারে মহাসভা। কিন্তু সেটা হল না। মহাসভা সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মহম্মদবাজারের বারোমেসিয়া গ্রামে দীর্ঘ আলোচনার আলোচনার পরে মহাসভা ঠিক করেছে, যতক্ষণ না মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করছেন যে কয়লাখনি প্রকল্প বাতিল করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত মহাসভা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের সরকারি প্যাকেজ ঘোঘণায় এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ সাড়া দিলেও একটা বড় অংশ এখনও প্রস্তাবিত কয়লা খনির বিপক্ষে। খনি গড়ার বিরোধী অবস্থানে এলাকায় ধর্নামঞ্চ গড়ে আন্দোলনে শামিল ছিল মহাসভা। খনি নিয়ে জট কাটাতে বুধবার ওই মঞ্চের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মহাসভার প্রতিনিধিদের দাবি ছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জানিয়েছেন, ডেউচার বাসিন্দারা না-চাইলে সেখানে খনি হবে না এবং মানুষের অমতে জোর করে প্রকল্পের জন্য জমি নেবে না রাজ্য সরকার। এই আশ্বাসের পরেও আপাতত আন্দোলন থেকে সরে না আসার সিদ্ধান্ত বহাল রইল বলে জানা গিয়েছে।\