ছবি: সংগৃহীত।
শেষ পর্যন্ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরোধিতার প্রশ্নে বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে একমত হল তৃণমূল। শাসক ও দুই বিরোধী দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই বিধানসভায় আসতে চলেছে এনআরসি-বিরোধী প্রস্তাব। কিন্তু ডেঙ্গির সমস্যা-সহ আরও কিছু ‘জনস্বার্থে’র বিষয়ে বারবার দাবি জানিয়েও আলোচনার অনুমতি না পাওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে দুই বিরোধী দল।
বিধানসভায় এনআরসি নিয়ে আলোচনা চেয়ে ১৮৫ ধারায় বেসরকারি প্রস্তাব জমা দিয়েছিল বাম ও কংগ্রেস। তেমন কোনও কার্যসূচি না থাকা সত্ত্বেও কেন এনআরসি নিয়ে সরকার আলোচনা করতে দিচ্ছে না, তা নিয়ে সরব ছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। শেষমেশ বুধবার বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা (বি এ) কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, কাল, শুক্রবার এনআরসি প্রস্তাব নিয়ে দু’ঘণ্টা আলোচনা হবে। সুজনবাবুর খসড়া করা প্রস্তাবের সামান্য হেরফের ঘটিয়েই তা গ্রহণ করেছে সরকার পক্ষ। যে প্রস্তাবের মূল সুর, ‘এই সভা দাবি জানাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভাবেই নাগরিকপঞ্জি লাগু করা যাবে না’। বিজেপি ছাড়া বাকি দলগুলি একজোট হয়ে ওই প্রস্তাব বিধানসভায় গ্রহণ করতে চাইছে।
মন্ত্রীদের অনুপস্থিতিতে দু’দিন আগে ডেঙ্গি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিয়েও তুলে নিয়েছিলেন মান্নান ও সুজনবাবু। বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি ছিল, এর পরেও ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনা করতে না দিলে তাঁরা অনাস্থা আনবেন। ডেঙ্গি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এ দিন পড়তে দিলেও আলোচনার অনুমতি দেননি স্পিকার। তার জেরেই অনাস্থা প্রস্তাব আনছেন বিরোধীরা। মান্নান বলেন, ‘‘দুই বিরোধী দল মিলে আমরা বৃহস্পতিবারই (আজ) অনাস্থা প্রস্তাব অধিবেশনে তুলব।’’