—ফাইল চিত্র।
সূচনাতেই প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ও অভিযোগকে ঘিরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে মঙ্গলবার মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই মিটেছে। পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে পড়ুয়ারা জানায়, প্রশ্নপত্র সহজ ছিল।
এ দিন পরীক্ষা শুরুর কিছু আগে সমাজমাধ্যমে ইংরেজির একটি ‘প্রশ্নপত্র’ ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে, পরীক্ষার্থীরা লেখা শুরু করার আগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে প্রশ্ন। পুরো নয়, প্রশ্নের কিছু অংশ বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে বলে গুজব রটে যায়। প্রথম পাতায় ‘ইংরেজি ২০২২’ লেখা একটি অংশও বেরিয়ে যায়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কর্তারা অবশ্য জানান, এটি ভুয়ো। কিন্তু সকাল থেকে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিভ্রান্তি ও উদ্বেগ আটকানো যায়নি। ২০১৯ সালের মাধ্যমিকেও অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিল। সে-বারেও পরে প্রমাণিত হয়ে যায়, বেরিয়ে যাওয়া প্রশ্নটি আদৌ আসল প্রশ্ন নয়।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় ইংরেজি প্রশ্নপত্রের মধ্যেই উত্তর লিখতে হয়। পরীক্ষার্থীদের আলাদা উত্তরপত্র দেওয়া হয় না। পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে এসে ছাত্রছাত্রীরা এ দিন জানিয়েছে, পরীক্ষার আগে সমাজমাধ্যমে বেরিয়ে যাওয়া ইংরেজি প্রশ্নের সঙ্গে আসল প্রশ্নের কোনও মিল নেই।
পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ ভাবে ভুয়ো প্রশ্নপত্র ছড়ানোয় বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরীক্ষার্থীরাও।’’ পর্ষদকর্তারা জানান, সকালে এক ব্যক্তি ই-মেল পাঠিয়ে জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। সভাপতি বলেন, ‘‘নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেওয়া হয় পরীক্ষার্থীদের হাতে। আমরা তাই নিশ্চিত ছিলাম।’’ পর্ষদকর্তারা জানান, ভুয়ো প্রশ্ন কারা ছড়াল, তাদের শনাক্ত করে উপযুক্ত প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ, বুধবার ভূগোল পরীক্ষা।