তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ফাইল চিত্র
বাংলায় বিপুল আসন নিয়ে জয়লাভের পর জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী অন্যতম দল হিসেবে নিজেদের তুলে ধরছে তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচনে শুধু বিজেপি বা মোদী বিরোধিতা নয়, বিরোধী ঐক্য তৈরিতেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চায়। সেই মতো সংসদের চলতি অধিবেশনে বিরোধীদের নিয়ে জোট তৈরির প্রয়াস শুরু করল ঘাসফুল শিবির। তাদের তালিকায় রয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি, আপ, এসপি, সিপিএম-সহ একাধিক বিজেপি বিরোধী দল।
রবিবার একটি ভিডিয়ো টুইট করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। ভিডিয়োটি রাজ্যসভার। ওই ভিডিয়োয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তাঁর আর্জি, ‘আমাদের কথা শুনতে মোদী আসুন।’ এ ছাড়া ওই ভিডিয়োতে একাধিক বিরোধী নেতার বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, পেগাসাস-কাণ্ড, কৃষি আইন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং দিল্লিতে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সরব বিরোধীরা। এর থেকে তৃণমূল বোঝাতে চাইছে, একক ভাবে নয়, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে মোদী বিরোধিতার জন্য তারা সব দলকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চায়। ভিডিয়োটি তুলে ধরে সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাইছেন ডেরেক। কারণ সেখানে কংগ্রেসের মলিকার্জুন খড়্গে, দীপেন্দর সিংহ হুডা, শিবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী, সিপিএমের ঝরনা দাস বৈদ্য, কে সোমাপ্রসাদ আরজেডি-র মনোজ কুমার ঝা, এনসিপি-র বন্দনা চবন, আপের সুশীল কুমার গুপ্তা, ডিএমকে-র আর এস ভারতীয় মতো বিরোধী নেতা রয়েছেন।
দিল্লি সফরে গিয়ে বিভিন্ন দলের বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন থেকেই তিনি বিরোধী ঐক্যে সলতে পাকানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন বলে অনেকে মনে করেন। সেই ধারা অনুযায়ী, সংসদে ঐক্যের বাতাবরণ দেখা যায়। তৃণমূলের সাংসদদের সাসপেন্ড করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকেই তাতে কিছুটা তাল কাটে। রাহুলের প্রাতরাশ বৈঠকে অন্যান্য বিরোধীরা উপস্থিত থাকলেও তৃণমূলের কোনও ওজনদার নেতা ছিলেন না। আবার শুক্রবার যন্তরমন্তরে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে করা প্রতিবাদ সভায় রাহুল গাঁধীর সঙ্গে ছিলেন না তৃণমূলের প্রথম সারির কোনও নেতা। ফলে জল্পনা তৈরি হয়, তবে কি কংগ্রেসকে এড়িয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল। রবিবার টুইট করে সেই দাবিকে খারিজ করে দেন ডেরেক। তাঁর মতে, ‘‘মোদী বিরোধিতায় শক্তিশালী বিরোধী জোট চায় তৃণমূল। এবং তাতে সক্রিয় ভূমিকা থাকবে দলের। আমরা ঐক্যের সেই ছবিটা তুলে ধরছি।’’