সিবিআই দফতরে ডেরেক। ছবি: পিটিআই।
সারদা মামলায় বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শুক্রবার তৃণমূলের অন্য সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। দুপুরে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে ছিলেন ডেরেক। ঢোকার সময় তিনি সাংবাদিকদের কিছু বলতে চাননি। জিজ্ঞাসাবাদের পরে সাংবাদিকদের এড়িয়ে পিছনের গেট দিয়ে বেরিয়ে যান। বক্তব্য জানতে পরে যোগাযোগ করা হলে ডেরেক বলেন, ‘‘আমি আগেও সংসদে জানিয়েছি। এখনও বলছি, সিবিআই ডাকলে আমার কিছু যায়-আসে না।’’
সিবিআই সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ‘জাগো বাংলা’র অ্যাকাউন্টে কবে কত টাকা ঢুকেছে, এখন তার সবিস্তার হিসেব কষছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। অভিযোগ উঠেছে, ২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে এবং পরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা যে-সব ছবি বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে, সেই টাকার একটি বড় অংশ ঢুকেছে জাগো বাংলার অ্যাকাউন্টে। তাই সেই মুখপত্রের অ্যাকাউন্ট নিয়ে সবিস্তার তদন্ত চলছে।
এক সময় প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ, অধুনা বিজেপি নেতা মুকুল রায় জাগো বাংলার যাবতীয় লেনদেনের হিসেব রাখতেন বলে তৃণমূল নেতারা বিভিন্ন সময়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের জানিয়ে এসেছেন। মুকুল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়ার পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, মানিক মজুমদারেরা সেই অ্যাকাউন্টের হিসেব রাখতেন বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। ডেরেক বেশ কয়েক বছর ধরে জাগো বাংলার প্রকাশক ছিলেন। এ দিন সেই জন্যই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সিবিআই জানায়, জাগো বাংলার তহবিলের পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দলের অন্য পত্রিকা ‘তৃণমূল লিডস’-এর প্রসঙ্গও উঠেছে এ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে।
প্রযোজক কৌস্তুভ রায়কেও এ দিন সিবিআইয়ের সল্টলেকের দফতরে ডাকা হয়েছিল। তিনি হাজিরাও দেন। কিন্তু ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারীরা ঠিক কী বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন, সেই ব্যাপারে কৌস্তুভ মুখ খুলতে চাননি। সিবিআইয়ের তরফেও কোনও তদন্তকারী অফিসার এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।