Sudeep Jain

ভিডিয়ো-বৈঠকে প্রযুক্তি বিগড়োনোয় ক্ষুব্ধ জৈন

কমিশন সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত বুধবার ভিডিয়ো সম্মেলনকে কেন্দ্র করে।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:১২
Share:

—ফাইল চিত্র

বিধানসভা ভোটের মুখে বাংলার আইনশৃঙ্খলা-সহ সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝতে এসে নরমে-গরমে নানান বার্তা দিয়েছেন তিনি। প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রযুক্তি-বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। ভিডিয়ো সম্মেলনে উত্তরবঙ্গের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন তিনি। প্রযুক্তি বেগড়বাঁই করায় ভিডিয়োয় বলা কথা পরিষ্কার করে শুনতে পাচ্ছিলেন না জৈন। এতে ভয়ঙ্কর ক্ষুব্ধ উপ-নির্বাচন কমিশনার রাজ্যে নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের তিরস্কার করেছেন বলে জানান প্রশাসনের এক কর্তা।

Advertisement

কমিশন সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত বুধবার ভিডিয়ো সম্মেলনকে কেন্দ্র করে। উত্তরবঙ্গের এক অফিসারের সঙ্গে বৈঠক চলছিল। তাঁর কাছে একটি বিষয়ের ব্যাখ্যা চান জৈন। হঠাৎ সেই কথোপকথনে ছেদ পড়ে। অফিসার যা বলতে চাইছিলেন, তার কিছুই শুনতে পাচ্ছিলেন না কমিশন-কর্তা। ক্ষুব্ধ জৈন অবাক হয়ে তাঁর পাশে বসে থাকা রাজ্যে নিযুক্ত কমিশন-কর্তাদের কাছে ওই সমস্যার কারণ জানতে চান। বৈঠকে উপস্থিত এক কর্তা জানান, কমিশনের কর্তারা বলার চেষ্টা করেন, ওটা নেটওয়ার্কের সমস্যা। কিন্তু জৈন সেই বক্তব্যকে আমল দেননি। বিরক্ত হয়ে খোদ নির্বাচনী অফিসারকে প্রশ্ন করেন তিনি। সন্তোষজনক উত্তর না-পেয়ে বিরক্ত হন জৈন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন উপ-নির্বাচন কমিশনার। জানিয়েছেন, প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।

ভোটের কাজকর্মে ন্যূনতম ত্রুটি বা গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে এ বারের সফরের শুরু থেকে বার্তা দিয়ে আসছেন জৈন। জানিয়ে দিয়েছেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় কমিশন। কর্তব্যে কোনও রকম অবহেলা হলে পত্রপাঠ শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণের কথা আমলা ও পুলিশকর্তাদের কাছে বার বার বলেছেন উপ-নির্বাচন কমিশনার। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের এক কমিশন-কর্তা রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই অফিসারের বদলির দাবিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের ঘরের সামনে বসে ধর্নায় বসেছিলেন বিরোধী দলের নেতারা। কমিশনের এক কর্তার কথায়, ঠারেঠোরে সে-বারের উদাহরণ টেনে উপ-নির্বাচন কমিশনার জানিয়ে দিয়েছেন, এ বার ওই ধরনের কোনও গাফিলতি রেয়াত করা হবে না। এই ধরনের কোনও অভিযোগ উঠলে তার প্রভাব কমিশনের আধিকারিকদের উপরে পড়বে বলেও হাবেভাবে পরিষ্কার করে দিয়েছেন জৈন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement