—ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এ বার রাজ্য সরকারের রোষে পড়ল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও। অনুমতি না নিয়ে কী ভাবে সিন্ডিকেটের বৈঠক ডাকা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে এই চিঠি পাঠিয়েছে বিকাশ ভবন।
সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ সিন্ডিকেটের যে বৈঠক ডেকেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দে, তা আইন-বিরুদ্ধ। শান্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নন। তিনি অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য। অর্থাৎ, শুধু উপাচার্য পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তিনি রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া সিন্ডিকেটের বৈঠক ডাকলে, নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়। আর তিনি কোনও অনুমতি নেননি।
শনিবারও উচ্চ শিক্ষা দফতরের নির্দেশে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির (এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিল বা ইসি) বৈঠক স্থগিত করে দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, এর পরেও বৈঠক হলে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের গোচরে আনা হবে।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, রাজ্যপাল আর অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ আরও জানিয়েছিল, সম্প্রতি রাজ্যপাল যাঁদের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন, তাঁরা কোনও সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। তাঁরা নিতে পারবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। শিক্ষা দফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই পর্যবেক্ষণ মেনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। নিয়ম ভেঙে ইসিও ডাকতে পারেন না। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ইসির বৈঠক ডাকার কোনও অনুমতি নেই বলেই জানি। এর পরেও বৈঠক হলে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টিগোচরে আনব।’’