বাঘাযতীনে বহুতল ভাঙার কাজ চলছে। —নিজস্ব চিত্র।
ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হল বাঘাযতীনের হেলে পড়া সেই চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ির। চারতলার উপরের ফ্ল্যাটের জানলার কাচ ভেঙে ভিতরে ঢোকেন ভাঙার কাজে নিযুক্ত কর্মীরা। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুরসভা, পুলিশ এবং দমকল আধিকারিকেরা। তাঁদের তদারকিতেই চলছে ভাঙার কাজ।
মঙ্গলবার দুপুরে আচমকাই হেলে পড়ে বাঘাযতীনের ওই ফ্ল্যাটবাড়িটি। সন্ধ্যা গড়াতেই সেই ফ্ল্যাট ভাঙার কাজ শুরু হল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল, পুরসভা এবং পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। বিপজ্জনক ভাবে বাড়িটি হেলে পড়ায় চিন্তার ভাঁজ দেখা যায় স্থানীয়দের কপালে। ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ, পুরসভা, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা। —নিজস্ব চিত্র।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটবাড়ির প্রতিটি তলায় দু’টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে। ফ্ল্যাটবাড়়িটি এক দিকে হেলে যাওয়ায় গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করেন প্রোমোটার। সেই কারণে কোনও বাসিন্দাই আপাতত সেখানে থাকছিলেন না। তবে ভাঙার কাজের খবর পেয়েই তাঁরা ঘটনাস্থলে আসেন। ফ্ল্যাটের মধ্যে থাকা তাঁদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি বার করে আনার দাবি জানান। সেই মতো ভাঙার কাজে নিযুক্ত কর্মীদের সঙ্গে ব্যাগও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জেসিবি আনা হয়েছে ভাঙার কাজের জন্য।
ওই ফ্ল্যাটটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ‘শুভ অ্যাপার্টমেন্ট’ নামের ওই ফ্ল্যাটবাড়িতে আগেই ফাটল দেখা দিয়েছিল। সেই সময় পুর কর্তৃপক্ষের তরফে ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, তার পরে আবার ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে বসবাস করতে থাকেন অনেকে। স্থানীয়দের দাবি, ফ্ল্যাটটি নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি। ওই অঞ্চলে তিনতলা ফ্ল্যাট বানানোর অনুমতি দেয় পুরসভা। অভিযোগ, সেই নিয়ম ভেঙে চারতলা ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছিল।