এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে প্রবল গরম এবং তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ায় ছুটি এগিয়ে আনা হয়। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে গ্রীষ্মের দহন কমতেই গরমের ছুটি বাতিল করে ফের স্কুল খোলার দাবি করেছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতি। এ ব্যাপারে শিক্ষা দফতরকে প্রস্তাবও পাঠিয়েছে তারা। ওই দুই শিক্ষক সংগঠন দাবি করেছে, এক দফায় লম্বা ছুটি না দিয়ে আপাতত স্কুল খুলে দেওয়া হোক। ফের মাত্রাতিরিক্ত গরম পড়লে তখন আবার ছুটি দেওয়া যেতে পারে।
প্রথমে শিক্ষা দফতর জানিয়েছিল, ১৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত প্রাথমিক স্কুলে ছুটি থাকবে। ৯ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ছুটি ছিল। কিন্তু এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে প্রবল গরম এবং তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ায় ছুটি এগিয়ে আনা হয়। গরমের ছুটি দেওয়া হয়েছে ৩ জুন পর্যন্ত। শিক্ষক সংগঠনগুলির নেতারা মনে করছেন, এত লম্বা ছুটির প্রয়োজন আপাতত নেই। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা বলেন, “এখন গরম অনেক কমেছে। ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। তাই স্কুল খুলে দেওয়াই যায়। ফের তীব্র গরম পড়লে কয়েক দিন ছুটি দেওয়া যেতে পারে।” পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র জানান, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সিমেস্টার পদ্ধতি চালু হয়েছে। পাঠ্যক্রম বদলেছে। এখন গরম না থাকলেও গরমের ছুটির জন্য স্কুল বন্ধ রাখলে পড়াশোনার ক্ষতি হবে।