—প্রতীকী ছবি।
প্রধান পদ পেতে টাকা দিতে হবে! এক মহিলা এবং এক পুরুষকণ্ঠের ভাইরাল হওয়া অডিয়োয় (যার সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) এমন প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, ওই মহিলাকণ্ঠ দলের হুগলির চণ্ডীতলা-২ পঞ্চায়েতে দলের জয়ী সদস্য মমতা মালিকের। পুরুষকণ্ঠ দলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি সঞ্জয় মান্নার। ওই পঞ্চায়েতে জয়ী অন্য এক সদস্য শঙ্কর ঘোষ তাঁকে টাকার প্রস্তাব দেন বলে কথোপকথনে সঞ্জয়কে বলেন মমতা।
অডিয়োর সত্যতা স্বীকার করেছেন সঞ্জয়। তিনি বলেন, ‘‘গত ৭ অগস্ট মমতার বাড়িতে যান দলের জয়ী জেলা পরিষদ সদস্য অর্পিতা কুণ্ডু হালদার এবং শঙ্কর ঘোষ। মমতা আমাকে বলেছেন, ওঁর থেকে টাকা চাওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এক থেকে দুই লক্ষ টাকা দিলে পদ পাওয়া যায়। দলের উচ্চ নেতৃত্ব বিষয়টি দেখবেন।’’ তৃণমূলের চণ্ডীতলা-২ ব্লক সভাপতি বিকাশ ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। টাকা চাওয়া সমর্থন করা যায় না। খোঁজ নেব।’’
অডিয়োর একটি অংশে পুরুষকণ্ঠে প্রশ্ন করা হয়, বাকসা পঞ্চায়েতের প্রধান হতে গেলে কত টাকা দিতে হবে? মহিলাকণ্ঠ বলেন, ‘‘কত টাকা মানে, শঙ্করদা বলছেন, ওই যেমন এক-দু’লাখ টাকা, যেমন আছে জোগাড় করতে পারবে, সেই রকম বলছে।’’
শঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বাড়িতে গিয়ে তাঁর দেখা মেলেনি। ফোনেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অর্পিতার বক্তব্য, ‘‘টাকা চাওয়ার বিষয় ঠিক নয়। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার মতো মানসিকতা আমার নেই। কেউ আমার নাম খারাপ করার চেষ্টা করছে।’’