আম্বেডকর মূর্তি চত্বরে সংবিধান বাঁচাও দিবস পালন। —নিজস্ব চিত্র।
বিহারের মতো এ রাজ্যেও জাতভিক্তিক জনগণনার দাবি জোরালো হল সংবিধান দিবসে। বিভিন্ন সামাজিক ও নাগরিক আন্দোলনের মঞ্চ, জনজাতি সংগঠনের সঙ্গে ওই দাবিতে স্বর মেলালেন কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই-সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বও। কলকাতায় রেড রোডে আম্বেডকর মূর্তি চত্বরে রবিবার ‘সংবিধান বাঁচাও দিবস’ পালন করার জন্য যৌথ ভাবে জমায়েতের ডাক দিয়েছিল নাগরিকপঞ্জি-বিরোধী যুক্ত মঞ্চ, জয় ভীম ইন্ডিয়া, আদিবাসী অধিকার মহাসভা, জয় কিসান আন্দোলন-সহ বেশ কিছু সামাজিক সংগঠন। মূলত কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে মানুষ এসেছিলেন এই কর্মসূচিতে। দলিত, জনজাতি মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সভায় প্রাক্তন বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা, আব্দুস সাত্তার, কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর, শরদিন্দু বিশ্বাস, জগন্নাথ টুডু, পার্থ ঘোষ, অভীক সাহা, শুভনীল চৌধুরী প্রমুখ বক্তারা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার জাতিভিত্তিক জনগণনা করাতে চাইছে না। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণি-বিরোধী চরিত্র স্পষ্ট হচ্ছে। তাঁদের দাবি, বাংলায় তৃণমূল সরকারকে বিহারের আদলে জাতিভিত্তিক আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা চালু করতে হবে।
কেন্দ্রে বর্তমান জমানায় যে ভাবে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সামাজিক ন্যায় এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আক্রান্ত হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এ দিনের সভায়। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে জনজাতিদের জল-জমি-জঙ্গলে অধিকারের যে রক্ষাকবচ রয়েছে, বাংলায় ৬০ লক্ষাধিক জনজাতি মানুষ সেই অধিকার থেকে এখনও ‘বঞ্চিত’। এ রাজ্যে বসবাসকারী জনজাতিদের পঞ্চম তফসিলের আওতায় আনার দাবিও উঠেছে সভায়।