অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল ছবি।
তিহাড় জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট)-কে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তিহাড় থেকে আসানসোল জেলে ফেরত যাওয়ার আবেদন করেছিলেন গরু পাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। বৃহস্পতিবার অনুব্রতের সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন বিচারক রঘুবীর সিংহ।
অনুব্রতের আবেদনের ভিত্তিতে গত ১ মে দীর্ঘ শুনানি হয়েছিল দিল্লির আদালতে। তবে সেই দিন কোনও নির্দেশ দেননি বিচারক। অনুব্রতের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। সেই সংক্রান্ত শুনানির আগে আসানসোল জেলে স্থানান্তরের আবেদনের ফয়সালা করে দেন বিচারক। তিনি জানান, অনুব্রতের আবদনের কোনও ভিত্তি নেই। নেই স্থায়িত্বও। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দাবি মেনে তৃণমূল নেতাকে তিহাড়েই রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
দিল্লিতে ইডি নিজেদের হেফাজতে তাঁকে রেখে দু’সপ্তাহ জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকে তিহাড়েই রয়েছেন অনুব্রত। তাঁর আইনজীবী আদালতে যুক্তি দিয়েছিলেন, দিল্লিতে অনুব্রতের বিরুদ্ধে ইডি-র কোনও মামলা নেই। বরং আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রতের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। তাই তাঁকে সেখানে ফেরত পাঠানো হোক। ইডি-র হেফাজত শেষে তদন্তকারীরা নতুন করে তিহাড়ে গিয়ে অনুব্রতের বয়ান নথিবদ্ধ করেননি। ৬০ দিন হতে চললেও ইডি চার্জশিট দায়ের করেনি। যদি ইডি-র ফের প্রয়োজন হয় বা দিল্লিতে বিচার শুরু হয়, তা হলে তাঁকে আবার তিহাড় জেলে নিয়ে আসা যাবে।
অনুব্রতের এই আবেদনে জোর আপত্তি তুলেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবীর যুক্তি ছিল, ইডি যদি দিল্লির আদালতে চার্জশিট দায়ের করে, তার পরে অনুব্রতকে আসানসোল থেকে ফিরিয়ে আনতে ৬ থেকে ৮ মাস লেগে যাবে। তাঁর প্রশ্ন, অভিযুক্ত কী ভাবে ঠিক করবে, সে কোন জেলে থাকবে? অনুব্রত এখন রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের অধীনে। অনুব্রতের উদ্দেশে ইডি-র আইনজীবী নীতেশ রানা বলেছিলেন, “এখন আগামী ৩-৪ বছর তিহাড় জেলকেই নিজের বাড়ি ভেবে ফেলুন।” ইডির সেই যুক্তি মেনে নিয়ে বৃহস্পতিবার আদালত অনুব্রতকে তিহাড়েই রাখার নির্দেশ দিল।