দিল্লি-কাণ্ডের প্রতিবাদে ও সম্প্রীতির দাবিতে শহরের রাস্তায় হাঁটলেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীরা। —নিজস্ব চিত্র।
দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় মদতে ধ্বংসলীলার প্রতিবাদে পথে নামল সিপিএম।
বিজেপি-আরএসএসের বিভাজন ও বিদ্বেষের নীতির জেরে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলেই সম্প্রীতির দাবিতে শহরের রাস্তায় হাঁটলেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীরা। সঙ্ঘ পরিবার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে সরব হয়েছে আরও নানা বাম সংগঠন ও কংগ্রেসও।
কলকাতা জেলা সিপিএমের ডাকে বুধবার সন্ধ্যায় এন্টালি মার্কেট থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিলে ছিলেন বিমানবাবু, সুজনবাবুরা। কলকাতা জেলা সিপিএমের সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি নানা গণ-সংগঠনের নেতৃত্বও শামিল হয়েছিলেন মিছিলে। সুজনবাবুদের বক্তব্য, ‘‘গুজরাতে ২০০২ সালে যাঁরা দাঙ্গা বাধিয়েছিলেন, তাঁরাই এখন দেশ শাসন করছেন। গুজরাত মডেলকে তাঁরা দিল্লিতে নিয়ে এসেছেন! সকলকে একজোট হয়ে এই হিংসার রাজত্ব রুখতে হবে।’’
আমিও আছি: দিল্লির হিংসা এবং সিএএ, এনআরসি, এনপিআরের প্রতিবাদে ডাকা বামেদের মিছিল যাবে এই পথ দিয়েই। সেই মিছিলের অপেক্ষায় এক বাম কর্মী। বুধবার সন্ধ্যায় এজেসি বোস রোডে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
লাগাতার অশান্তি সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ব্যর্থতার দায়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফা দাবি করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। একই দাবিতে এবং সম্প্রীতির ডাক দিয়ে কাল, শুক্রবার রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করবে প্রদেশ কংগ্রেস। তার আগে এ দিনই সন্ধ্যায় শাহের পদত্যাগ ও দিল্লিতে শান্তি চেয়ে হাজরা মোড়ে মানববন্ধন করেন কংগ্রেস ও যুব কংগ্রেস কর্মীরা। ছিলেন যুব নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকে। নরেন্দ্র মোদী ও শাহের ভূমিকার জন্যই দিল্লিতে আগুন জ্বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানও।
দিল্লি-কাণ্ডের প্রতিবাদে বামেদের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
ফরওয়ার্ড ব্লকের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাস এ দিন দিল্লির মানুষের উদ্দেশে আর্জি জানিয়েছেন শান্তি ও সৌহার্দ্য রক্ষা করার। এসইউসি-র সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষের অভিযোগ, ‘‘যে বর্বরতা চলছে, তার জন্য আরএসএস-বিজেপি এবং তাদের পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারই ১০০% দায়ী।’’ এর আগে দিল্লিতে জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়ায় হামলা বা উত্তরপ্রদেশে নানা হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টাই যে করা হয়নি, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রভাসবাবু। ‘সারা বাংলা এনআরসি-বিরোধী নাগরিক কমিটি’র সভাপতি বিমল চট্টোপাধ্যায় ও সম্পাদক গোপাল বিশ্বাস দিল্লি-কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার ধিক্কার দিবসের ডাক দিয়েছেন। বিজেপি ও কেন্দ্রকে দুষেছে ‘শিল্পী, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিজীবী মঞ্চ’ও।