ধর্মঘটের ডাক দেশের ৪১টি অস্ত্র কারখানায়

কর্মী সংগঠন অল ইন্ডিয়া ডিফেন্স এমপ্লয়িজ় ফেডারেশনের সভাপতি এসএন পাঠক বুধবার এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘এটি প্রথম পর্যায়ের ধর্মঘট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০১:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের উদ্যোগের জেরে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে নতুন করে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। তারই মধ্যে অস্ত্র কারখানার বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে ২০ অগস্ট থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা এক মাস ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের অধীন সব কারখানার কর্মীরা।

Advertisement

কর্মী সংগঠন অল ইন্ডিয়া ডিফেন্স এমপ্লয়িজ় ফেডারেশনের সভাপতি এসএন পাঠক বুধবার এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘এটি প্রথম পর্যায়ের ধর্মঘট। সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনায় না-বসলে দেওয়ালির পরে দ্বিতীয় দফায় ফের ধর্মঘট হবে।’’ দেশের সরকারি অস্ত্র কারখানার বেসরকারিকরণ করার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। কর্মী সংগঠনের নেতারা জানাচ্ছেন, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। গোলাবারুদ একসঙ্গে জমিয়ে রাখা যায় না। তাই নিয়মিত উৎপাদন জরুরি। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের অধীন ৪১টি কারখানায় ধর্মঘট হলে তার প্রভাব পড়বে জাতীয় নিরাপত্তার উপরেও।

কর্মীদের দাবি, গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সরকারি অস্ত্র ও গোলাবারুদ কারখানা নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। সম্প্রতি চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত রকেটের কঠিন জ্বালানিও গিয়েছে এই বোর্ডের অধীন কারখানা থেকে। ১৯৭১-এর ভারত-পাক যুদ্ধ এবং কার্গিল যুদ্ধে জয়ের ক্ষেত্রেও সরকারি কারখানার অস্ত্রই কাজে এসেছিল। তার পরেও কেন বেসরকারিকরণ, প্রশ্ন কর্মীদের। তাঁরা জানান, সংগঠনের নেতারা প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দফতরে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মন্ত্রী বা কোনও আমলা তাঁদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করতে চাননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement