দীপা দাশমুন্সি। — ফাইল চিত্র।
প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটে সাফল্য পেয়েছিল কংগ্রেস। এ রাজ্যের রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ দীপা দাশমুন্সির হাতে এ বার তেলঙ্গানা বিধানসভা ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তুলে দিল এআইসিসি। সোমবার দিল্লিতে এআইসিসির তরফে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের সিনিয়র পর্যবেক্ষক ও পর্যবেক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি জায়ার। তাঁকে তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের সিনিয়র পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গেই পর্যবেক্ষক করা হয়েছে এআইসিসির আরও এক নেত্রী মীনাক্ষী নটরাজনকে।
এর আগে গত বছর ডিসেম্বর মাসে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ। সেই ভোটে ৪০ আসন জিতে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করে কংগ্রেস। তার পর চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাঁকে তুলে দিয়েছিল এআইসিসি। দায়িত্ব পেয়েই ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জোট গড়তে অন্যতম ভূমিকা ছিল দীপার। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যে বিজেপিকে হারাতে না পারলেও, তিনটি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। আর এ বার তেলঙ্গানার বিধানসভা ভোটের সিনিয়র পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে বিধানসভার নির্বাচন হতে পারে তেলঙ্গানায়। সেখানে ক্ষমতায় রয়েছে কে চন্দ্রশেখর রাও নেতৃত্বাধীন ভারত রাষ্ট্রিয় সমিতি (বিআরএস)। সেখানে ক্ষমতা দখলে রাখতে মরিয়া বিআরএস, আর বিরোধী হিসেবে জোর প্রচার শুরু করেছে বিজেপিও। কিন্তু জাতীয় রাজনীতির কারবারিদের মতে, দক্ষিণের এই রাজ্যে কংগ্রেসের ভাল ফলের আশা রয়েছে। তাই কংগ্রেস নেতৃত্ব এখন থেকেই সেই রাজ্যে পর্যবেক্ষকদের দিয়ে ভোটের প্রস্তুতির কাজ শুরু করিয়ে দিতে চাইছেন।
দায়িত্ব পাওয়ার পর দীপা বলেন, ‘‘আমি তেলঙ্গানাতে এর আগে সাংগঠনিক নির্বাচনে পিআরও হিসাবে কাজ করেছি। সেই সুবাদে সেখানে কাজ করতে সুবিধাই হবে। তা ছাড়া দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটক ভোটের সময়ও সেখানে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই আমার মনে হয়, এই সব অভিজ্ঞতার মিশেলেই ভাল কাজ করতে পারব।’’ তেলঙ্গানা ছাড়াও রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড় ও মিজোরামের সিনিয়র পর্যবেক্ষক ও পর্যবেক্ষকদের নামও ঘোষণা করেছেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেণুগোপাল।