পুলিশের দাবি, মৃত ব্য়ক্তির নাম হাসান আলি—নিজস্ব চিত্র।
মেচেদা লোকালের কামরায় ট্র্যাভেল ব্যাগের ভিতরে থাকা মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানা গেল। পুলিশে জানিয়েছে, তাঁর নাম হাসান আলি (৪৫)। বউবাজার থানা এলাকার বাসিন্দা হাসান পেশায় ব্যবসায়ী।
তাঁর পরিবারের দাবি, দিঘায় একটি হোটেল হাসানের লিজ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। সেই বাবদ ইতিমধ্যেই ১৫ লক্ষ টাকা হাসান দিয়ে দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তাঁর বাড়ির লোক। মঙ্গলবার হোটেল মালিককে আরও ৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। সেই উদ্দেশ্যেই হাসান বাড়ি থেকে রওনা দেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
হাসানের এক আত্মীয় মহম্মদ ইকবালের দাবি, এই লিজ প্রক্রিয়ায় চার জন ছিলেন। ইকবালের অভিযোগ, এই চার জন দালাল-ই হাসানকে খুন করে ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। কারণ, হোটেল মালিক ওই টাকা পাননি বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘আমাদের ত্রাতা দেবদূত হিন্দুই’
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ হাওড়া থেকে ৩৮৩১৩ আপ মেচেদা লোকাল ওই স্টেশনে এসে পৌঁছয়। ট্রেনের যাত্রীরা নেমে গেলে রেকটি চলে যায় কার শেডে। রাতেই ট্রেন পরিষ্কার করতে ওই রেকে ওঠেন রেলের সাফাইকর্মীরা। সাফাই করার সময় একটি সিটের নীচে লাল রঙের এক ট্রাভেল ব্যাগ দেখতে পান তাঁরা। সেটি সরাতেই রক্তের ক্ষীণ ধারা চোখে পড়ে তাঁদের। ব্যাগের চেন খুলতেই দেখতে পান, এক যুবকের হাঁটু মোড়া দেহ! সঙ্গে সঙ্গে সাফাইকর্মীরা খবর দেন রেলপুলিশ (জিআরপি) এবং রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ)-কে।
আরও পড়ুন: খাতা দেখার সময় ফের কমে গেল মাধ্যমিকে
হাসান আলির দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁর শরীরে বেশ কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যারহস্যের তদন্ত শুরু করেছে পাঁশকুড়া জিআরপি।