বাঙালি ট্রেকারের দেহ এল উত্তরাখণ্ড থেকে। নিজস্ব চিত্র।
উত্তরাখণ্ডের কানাকাটা পাসে ট্রেকিং করতে গিয়ে মৃত্যু হওয়া পাঁচ বাঙালি ট্রেকারের দেহ ফিরল বৃহস্পতিবার সকালে। সকাল ৯টা নাগাদ দিল্লি থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে আসে তাঁদের দেহ। সেখান থেকে পরিবারের লোকেরা দেহ নিয়ে আসেন বাড়িতে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন বাগনানের তিন যুবক। তাঁদের নাম চন্দ্রশেখর দাস, সরিৎশেখর দাস এবং সাগর দে। বাকি দু’জন হলেন নদিয়ার রাণাঘাটের প্রীতম রায় এবং বেহালার ঠাকুরপুকুরের সাধন বসাক।
সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের কানাকাটা পাসে ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন এই পাঁচ জন। সেখানে গিয়ে তুষারধসের কবলে পড়েন তাঁরা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর থেকেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের লোকেরা। পরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কপ্টার তাঁদের দেহ উদ্ধার করে। গত শনিবার চন্দ্রশেখর, সরিৎশেখর এবং প্রীতমের বাড়ির লোকেরা যান উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর জেলায়। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেহগুলি শনাক্ত করেন। তার পর বৃহস্পতিবার কফিনবন্দি দেহ ফিরিয়ে আনা হয়।
পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক সাগর দে-র দেহ নিয়ে যাওয়া হয় আমতার দে পাড়ায়। এখানেই ছোটবেলা কেটেছে সাগরের। পাহাড়ে চড়া ছিল সাগরের নেশা। গত ১০ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন ট্রেকিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন। পাহাড়ে চড়ার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও তিনি নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর বাড়ির লোক। মৃতদের দেহ পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁদের পরিবারের লোক এবং আত্মীয়স্বজনরা।
৫ অক্টোবর উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন রাণাঘাটের পায়রাডাঙ্গার প্রীতম রায়। এমবিবিএস কোর্সের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। ১০ অক্টোবর থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল তাঁর। ১৮ অক্টোবর তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। বিমানবন্দর থেকে পায়রাডাঙা আনার পর প্রীতমের কফিনবন্দি দেহ দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয়রা।
উত্তরাখণ্ড থেকে ফেরার পথে বিহারে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বহরমপুরের বাসিন্দা সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের। দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিন রওনা দিয়েছিলেন সব্যসাচী এবং তাঁর সঙ্গীরা। মঙ্গলবার বিহারের সাসারামে ঘটা দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বৃহস্পতিবার সব্যসাচীর বাড়ি গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানান তিনি।