স্কুলের গেটের সামনে গ্রামবাসীরা।—নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ টালবাহানার পর এক মাস ২০ দিন পর শেষ পর্যন্ত খুলল উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট স্কুল। শনিবার সকালেই স্কুল খোলার কথা ছিল। কিন্তু আচমকাই বেঁকে বসেন গ্রামবাসীরা। প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতাও শুরু হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও স্কুলের চাবি দিতে চাইছিলেন না গ্রামবাসীরা। তাঁর দাবি করেন, “আগে শর্ত মানতে হবে। তবেই স্কুলের চাবি দেওয়া হবে।”
শেষ পর্যন্ত আসরে নামেন জেলাশাসক রণধীর কুমার। গ্রামবাসীদের বক্তব্য শুনে, তাঁদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। এর পরই তাঁরা ইসলামপুরের এসডিও মণীশ মিশ্রের হাতে স্কুলের চাবি তুলে দেন।
এ দিন স্কুল চালু হওয়ার খবর আগে থেকেই ছিল পড়ুয়াদের কাছে। গ্রামবাসীরা আলোচনার ভিত্তিতে তাতে সম্মতি জানিয়ে ছিলেন। সেই মতো ছাত্রছাত্রীরাও চলে আসে। কিন্তু প্রশাসন এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে টানাপড়েনের জেরে স্কুল চালু হলেও, এ দিন আর ক্লাস হয়নি।ইতিমধ্যেই প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছে শিক্ষা দফতর। তারই সঙ্গে উর্দু এবং সংস্কৃতের শিক্ষককে অন্য স্কুলে বদলি করে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: লোকসভার প্রস্তুতিতে দিলীপ-মুকুল দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
আরও পড়ুন: রেললাইনে নেমে এয়ার পাইপ ঠিক করছিলেন গার্ড, চলতে শুরু করল ট্রেন, তার পর...
নিহত দুই ছাত্র তাপস বর্মণ এবং রাজেশ সরকারের পরিবার-সহ গ্রামবাসীদের দাবি, এক) ছাত্র খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাই। দুই) প্রধান শিক্ষক এবং সহপ্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করতে হবে। তিন) ধৃত ৮ গ্রামবাসীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।