গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
রাজ্য জুড়ে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বাড়ল। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের থেকে কমেছে। সংক্রমণের দৈনিক হারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮৮৩ জন। সোমবারের বুলেটিনে এই সংখ্যাটি ছিল ৪৩৬। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাবে এখনও পর্যন্ত মোট ২০,৯৫,২১০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০,৬১,৫৮০ জন। এই মুহূর্তে ১২,২৫৪ জন আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের মধ্যে গৃহ নিভৃতবাসে রয়েছেন ১১,৯২০ জন। বাকি ৩৩৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জন সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সোমবারের বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টায় ৬ জন কোভিড রোগী মারা গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ২১,৩৭৬ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
চলন্ত গড় কী, এবং কেন এটি ব্যবহার করা হয়, তা লেখার শেষে উল্লেখ করা হয়েছে।
রোগীমৃত্যুর দৈনিক সংখ্যা কমলেও ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের দৈনিক হার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ৭.৪৮ শতাংশ হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১,৮০৮টি কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)