নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আবারও ঊর্ধ্বমুখী। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্য জুড়ে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আবারও ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজারের বেশি। আগের দিন এই সংখ্যাটাই ছিল দেড় হাজারের কাছাকাছি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই তথ্য জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি, ওই সময়ের মধ্যে ছ’জন রোগী মারা গিয়েছেন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে নতুন করে ২,২৪৩ জন সংক্রমিতের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সোমবারের বুলেটিনে তা ছিল ১,৪৪৯। ওই বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত ২০,৭৪,৫৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও তার মধ্যে ২০,২৪,২৯৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হলেও সংক্রমণের দৈনিক হার বা ‘পজিটিভিটি রেট’ কিছুটা কমেছে। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪,৫৯০টি কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ১৫.৩৭ শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওই সময়ের মধ্যে ২,৮৫১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যদিও সোমবারের মতো মঙ্গলবারও ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২১,২৮৮ জন কোভিড রোগী মারা গিয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ২৮,৯৬৯ জন আক্রান্ত রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নিজের বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন ২৮,২৫৫ জন। এ ছাড়া, ৭১৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
করোনার সংক্রমণে রাশ টানতে টিকাকরণ অন্যতম হাতিয়ার বলে বার বার মনে করিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪,৭৬,৯৯১ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট ৫৪,৮৪,৬৭৬ জনের টিকাকরণ হয়েছে। তার মধ্যে ৭২,৭৭৮,৪৪২ জনের প্রথম টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। বাকি ৬৪,০৬৪,৪৮৩ বাসিন্দা দ্বিতীয় টিকা নিয়েছেন।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)