ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পে ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও জেলায় যদি টাকা কম পড়ে, সঙ্গে সঙ্গে তা নবান্নে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনিক সূত্রের খবর, টাকার জন্য যাতে ক্ষতিপূরণ বিলির কাজ কোনও ভাবেই না-আটকায়, প্রধানত সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে সরকার।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দফায় দফায় ত্রাণ বিলির কাজ চলছে ১ জুলাই থেকে। সূচি অনুযায়ী বুধবারেই ক্ষতিপূরণ বিলির কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সব ক্ষতিগ্রস্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দিতে আরও কয়েকটা দিন লাগবে বলেই মনে করছেন বিভিন্ন জেলার কর্তারা। প্রশাসনের অন্দরের তথ্য অনুযায়ী, এক লক্ষ ৮২ হাজারের মতো ক্ষতিপূরণের আবেদনপত্র যথার্থ বলে সিলমোহর দিয়েছেন যাচাই-আধিকারিকেরা। যদিও এই সংখ্যক আবেদনপত্রের মধ্যে কৃষিতে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন ধরা নেই। সেই হিসেব আলাদা। এখনও পর্যন্ত দেড় লক্ষের কিছু বেশি আবেদনকারীর কাছে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। বাকিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও যাতে দ্রুত টাকা পাঠানো যায়, সেই ব্যাপারে জেলা প্রশাসনগুলিকে বার্তা দিয়েছে রাজ্য।
এক জেলা-কর্তা বলেন, “খারাপ আবহাওয়ার দরুন কিছু দিন যাচাই প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়েছিল। তার জন্য অবশ্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ বাধা পায়নি। সেই কাজের সঙ্গেই তাল মিলিয়ে আবেদনপত্রের যাচাই প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে। বাকিদেরও টাকা দিতে বেশি সময় লাগবে না। কোথাও টাকার সমস্যা থাকলে জানাতে বলা হয়েছে।” সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের দাবি, ইতিমধ্যেই কৃষি, উদ্যানপালন, প্রাণিসম্পদ, মৎস্য ইত্যাদি দফতর এই খাতে অর্থ মঞ্জুর করছে।