গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যবাসীর জন্য স্বস্তির খবর। পশ্চিমবঙ্গ উপকূল থেকে আরও কিছুটা ওড়িশার দিকে সরে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ। অর্থাৎ বুধবার দুপুরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে ইয়াস ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের মধ্যে ওড়িশার বালেশ্বরের দক্ষিণ ও ধামরার উত্তর দিক দিয়ে অতিক্রম করবে বলে পূর্বাভাস।
বেশ খানিকটা গতি বাড়িয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। গতি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে ইয়াস। মৌসম ভবন মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের বুলেটিনে জানিয়েছে, গত ৬ ঘণ্টা ধরে ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছে ইয়াস। আর তার ফলেই স্থলভাগের থেকে ক্রমশ দূরত্ব কমছে তার। ঘূর্ণিঝড় যত স্থলভাগের দিকে এগোবে তত তার গতিবেগ বাড়বে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন।
বঙ্গোপসাগরে ইয়াস এই মুহূর্তে ১৮ ডিগ্রি ৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৮ ডিগ্রি ৩ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। এই মুহূর্তে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব, ওড়িশার বালেশ্বর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব, পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব ও সাগর দ্বীপ থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে ইয়াস।
মঙ্গলবারের মধ্যে ইয়াস অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। তার পর আরও উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার ভোরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে চাঁদবালি ও ধামরা বন্দরের কাছে পৌঁছনোর কথা ইয়াস-এর। বুধবার দুপুরে বালেশ্বরের দক্ষিণ ও ধামরার উত্তর দিক দিয়ে অতিক্রম করবে ইয়াস, এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন। তার পর ঘূর্ণিঝড় চলে যাবে ঝাড়খণ্ডের দিকে।
ইয়াস-এর প্রভাবে মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলি অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ইয়াস স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ ১৮৫ কিলোমিটার হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।