দুর্যোগের আশঙ্কায় নদীবক্ষ থেকে ফিরছেন মৎস্যজীবীরা। —নিজস্ব চিত্র।
ইয়াসের আতঙ্কে কাঁচা ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাচ্ছেন মালদহের গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ভারী বৃষ্টিতে আম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় তা পেড়ে নিতে শুরু করেছেন আমচাষিরা। ধান কেটে নিচ্ছেন কৃষকেরাও। নদীপারের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দেয়নি প্রশাসন। যদিও মালদহ জেলা প্রশাসনের পাল্টা দাবি, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ।
রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো তাণ্ডবের আশঙ্কা না থাকলেও ইয়াসের দাপটে মালদহে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই পূর্বাভাস মাথায় রেখেই তৈরি মালদহ। দুর্যোগের আশঙ্কায় মানিকচকের সঙ্গে গঙ্গার ও পারের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে যোগাযোগের ফেরিঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “বিপর্যয় রুখতে প্রস্তুতি শেষ। রিলিফ ক্যাম্পও তৈরি। বড় দুর্ঘটনা ঘটলে, তা মোকাবিলায় অসামরিক দফতর ও দমকলবাহিনীর কর্মীদের নিয়ে টিমও তৈরি রয়েছে।”
প্রশাসনের মতো সতর্ক স্থানীয়রাও। বহু মৎস্যজীবী আগামী দু’দিন নদীবক্ষে নৌকো নিয়ে থাকছেন না বলে জানিয়েছেন। ক্ষতির আশঙ্কায় উঁচু স্থানে বা পাকা ছাদের তলায় সরতে শুরু করেছেন তাঁরা। নদী তীরবর্তী এলাকার এক মাঝি মহম্মদ দুলু মিয়াঁ বলেন, “ঘূর্ণিঝড় যে আসছে, সে খবর পেয়েছি। তবে প্রশাসনের থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু সতর্ক থাকতে ঘরে ফিরছি।”
ক্ষতির আশঙ্কা করছেন মালদহের আমচাষিরাও। জেলায় প্রায় ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয় বলে কৃষি দফতর সূত্রে খবর। ইয়াসের দাপট থেকে বাঁচতে আগেই আম পেড়ে নিচ্ছেন চাষিরা। অশোক মণ্ডল নামে এক আমচাষি বলেন, “এখনও মালদহের আম পাকতে সময় লাগবে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ে ভারী বৃষ্টিতে আমের বোঁটা ভেঙে যেতে পারে। বোঁটায় জল জমে নষ্ট হতে পারে আম। তাই আম পেড়ে নেওয়া হচ্ছে।”