সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে ফের সন্ধে ৬টায় সাংবাদিক বৈঠক করবেন বলে জানালেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ৬টার সময় ইয়াস নিয়ে আরও তথ্য জানাতে পারবেন তিনি।
প্রয়োজন হলে পরিস্থিতি সামলাতে সেনা নামানোর সিদ্ধান্তও নিতে পারে রাজ্য সরকার। বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাংবাদিক বৈঠকে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের মমতা বললেন, ‘‘আপনারাও চাইলে রাতে এখানে থাকতে পারেন। খাওয়া-দাওয়া থাকার সবরকম ব্যবস্থা থাকবে।’’
ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার সময় নিয়ে এখনও সঠিক তথ্য নেই, জানালেন মমতা। সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, ‘‘ভোররাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হবে। সকালের দিকে ল্যান্ডফল হতে পারে। আবার অনেকে বলছেন দুপুর ১২টা নাগাদও আছড়ে পড়তে পারে ইয়াস। তবে সকালের দিকটাই একটু বেশি করে নজর রাখতে হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘আজ (মঙ্গলবার) নিজেরাও আমরা সবাই নবান্নেই থাকব। কাল তো ল্যান্ডফল হবে। তখনই বোঝা যাবে, কতটা ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। আমরা তাই প্রতি মুহূর্তে মনিটরিং করব।’’
দিঘা, শঙ্করপুরে ঘরে জল ঢুকে যাচ্ছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে বললেন মমতা। জানালেন, ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাচ্ছেন।
উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুরের জেলা শাসকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, বললেন মমতা। জানালেন, উত্তর ২৪ পরগণার জেলা শাসক জানিয়েছেন, তিনি মঙ্গলবার রাতে সন্দেশ খালিতে থাকবেন। মমতা জানালেন, তাঁরা নিজেদের মধ্যে কাজ ভাগ করে নিচ্ছেন।
৪ হাজার ত্রাণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগের জন্য ওয়ার রুম তৈরি করা হয়েছে। আগেও এই পরিষেবা ছিল। তবে এবার ব্লক স্তরেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এক একজন আইএএস কর্তাদের এই কন্ট্রােলরুমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে কাজ করছে বলে জানালেন মমতা। জেলাশাসকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলছে।
প্রায় ৯ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের নিরাপদ এলাকায় রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমফানের সময়ও ১০ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। এবারও ওই ৯ লক্ষ মানুষকে ত্রাণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।