Cyclone

আমপানের জেরে দিঘায় ফুঁসছে সমুদ্র, বাড়ছে ঝোড়ো হাওয়া-বৃষ্টি 

এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিভিন্ন সাইক্লোন সেন্টার ও স্কুলে রাখা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২০ ১১:৩৯
Share:

দিঘায় উত্তাল হয়ে উঠছে সমুদ্র। বুধবার সকালে। ছবি: পিটিআই

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমপান (প্রকৃত উচ্চারণ উম পুন) এর প্রভাবে বুধবার ভোর থেকে দিঘায় বাড়তে শুরু করেছে বৃষ্টিপাত। সঙ্গে রয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। ধীরে ধীরে উত্তাল হয়ে উঠছে সমুদ্র। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজও স্থানীয় বাসিন্দাদের সরানোর কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

Advertisement

আজ বুধবার বিকেলেই দিঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মাঝে কোনও একটি জায়গায় উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান’। কিন্তু তার প্রভাবে মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। তার পর থেকে সময় যত এগিয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। বুধবার ভোর রাত থেকে সেই বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে সমুদ্রের ঢেউয়ের গতি এবং উচ্চতাও বেড়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সকালের দিকে দিঘার উপকূলে হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সৈকত বরাবর রয়েছে ৭১ কিলোমিটার এলাকা। এই ৭১ কিলোমিটার জুড়ে উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার ভিতরের এলাকাকে বিপদসঙ্কুল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিভিন্ন সাইক্লোন সেন্টার ও স্কুলে রাখা হয়েছে।

Advertisement

জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা রামনগর ১ ও ২ ব্লকে। দিঘা থেকে তাজপুর হয়ে মন্দারমণি পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা। কারণ এই এলাকায় সমুদ্র বাঁধ যথেষ্ট উঁচু নয়। তাই বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: দিঘা থেকে ১৭৭ কিমি দূরে আমপান, কেন্দ্রের গতি সুন্দরবনমুখীই

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে কী করবেন, কী করবেন না

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement