হাও়ড়ার শ্যামপুরে দুর্গত এলাকায় বাম এবং কংগ্রেস নেতারা। —নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান’-এর জেরে বিধ্বস্ত এলাকায় মানুষের দুর্গতি সরেজমিনে দেখে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে জানাতে চান বিরোধী বাম ও কংগ্রেস নেতারা। সেই লক্ষ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর, বারুইপুরের পরে এ বার হাওড়ার আমতা ও শ্যামপুরে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলল বাম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। শাসক দল তৃণমূল অবশ্য বিরোধী দলের এই সফরকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছে। বিরোধী নেতারা ফিরে আসার পরে এলাকায় কংগ্রেস কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগও উঠেছে।
শ্যামপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রবিবার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, ঝড়ের ১১ দিন পরেও বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন। ত্রাণের কাজও শুরু হয়নি অনেক জায়গায়। দুর্গত বেশ কিছু মানুষ এ দিন বিরোধী দলনেতার হাতেই ক্ষতিপূরণের আবেদনপত্র তুলে দেন। বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে সরব হওয়ার কথা বলেন মান্নান। পরে তাঁর বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় দল এলে তাদের সঙ্গে দেখা করে আমরা পরিস্থিতির কথা জানাতে চাই। অনেকে বিরোধী দলের লোকজনের কাছ থেকেই যতটুকু ত্রাণ, ত্রিপল পেয়েছেন, তাতেই কোনও ভাবে দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন, পঞ্চায়েত খোঁজ নেয়নি।’’
হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা সভাপতি পুলক রায় অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা বলেছেন, ‘‘ঝড়ের ১১ দিন পরে জগাই-মাধাই নাটক করতে এসেছে! আমাদের সরকার ঝড়ের আগের দিন শ্যামপুরে নদীর ধার থেকে মানুষজনকে সরিয়ে অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পড়ে থাকা গাছ সরিয়ে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে এনেছে।’’
‘আক্রান্ত’ কংগ্রেসকর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
প্রতিনিধিদলে মান্নান, সুজনের সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক অসিত মিত্র, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠকেরা। তাঁরা ফিরে আসার পরে বড়গ্রাম, খাড়ুবেড়িয়া অঞ্চলে কংগ্রেস কর্মীদের উপরে শাসক দলের হামলার অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতারা। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অমিতাভবাবু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীরা গ্রেফতার না হলে শ্যামপুর থানা অবরোধ হবে। পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, বিষয়টির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।