রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নিরাপত্তায় আজ, সোমবার থেকে যোগ দিচ্ছে সিআরপিএফ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা রাজ্যপালের ক্লোজ প্রোটেকশন টিমের অঙ্গ হিসেবে কাজ করবেন। ধনখড়ের ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার প্রথম দু’টি স্তরের ভার থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে। তবে নিরাপত্তায় পুলিশের ভূমিকা কমছে না। রাজ্যপালের নিরাপত্তা হিসেবে নবান্ন যে ব্যবস্থা করেছিল, তা বহাল থাকবে বলেই প্রশাসন সূত্রে দাবি।
সিআরপি’র পশ্চিমবঙ্গের আইজি রবীন্দ্রন শঙ্করণ বলেন,‘‘রাজ্যপালের নিরাপত্তায় আমরা স্রেফ সহযোগী হিসেবে যোগ দিচ্ছি। কলকাতা বা রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তার সঙ্গেই অতিরিক্ত বাহিনী হিসেবে আমাদের জওয়ানরা থাকবেন। নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়ের।’’
নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিনীত গোয়েলের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করেই সিআরপি রাজ্যপালের নিরাপত্তা ঠিক করেছে। রাজ্যপালের নিরাপত্তা নিয়ে অসহযোগিতার প্রশ্নই নেই। সমন্বয় রেখেই সবটা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন:বাজার চড়েছে, সেই সঙ্গে উদ্বেগ
নবান্ন জানাচ্ছে, রাজ্যপালের ক্লোজ প্রোটেকশন টিমে আর রাজ্য পুলিশের কেউ থাকছেন না। তাঁর পুলিশের দেহরক্ষীও আজ, সোমবার থেকে সরে যাচ্ছেন। পরিবর্তে সিআরপির অফিসার রাজ্যপালের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করবেন। এডিসি ছাড়া দেহরক্ষী হিসেবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসার রাজ্যপালের গাড়িতে সর্বক্ষণের সফরসঙ্গী হবেন। তবে পুলিশের তরফে থাকা এডিসি থাকছেন। থাকছেন সেনাবাহিনীর এডিসিও। দেহরক্ষী ছাড়াও রাজ্যপালকে সব সময় ছ’আট জন সিআরপি জওয়ান ঘিরে থাকবেন। গাড়ির পিছনে প্রথম এসকর্টটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকবে। অতিরিক্ত পুলিশের পাইলট, এসকর্ট ও নিরাপত্তারক্ষী থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজভবনের অন্দরের ধনখড়ের অফিসের নিরাপত্তার ভারও এখন থেকে সিআরপি’র হাতে চলে যাচ্ছে। পুলিশ কেবল রাজভবনের চারটি গেট ও আশপাশের নিরাপত্তা সামলাবে। কারণ, রাজভবনের আশপাশে বিক্ষোভ হলে তা আইন-শৃঙ্খলার বিষয়, পুলিশকেই তা সামলাতে হবে বলে নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন।