ফাইল ছবি
রাজ্যের শেষ দু’টি বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের জোট-নীতি ‘ভরাডুবির’ কারণ বলে মনে করছে বামফ্রন্টের অন্যতম শরিক আরএসপি। বালুরঘাটে শনিবার দলের ২২তম রাজ্য সম্মেলন শুরু হল। সাংগঠিক পরিকল্পনার দলিল প্রতিনিধিদের কাছে এ দিনই পেশ হয়। সেখানে সরাসরি ফ্রন্টের অন্যতম শরিক সিপিএমের নাম না করলেও, কার্যত ঘুরিয়ে আঙুল তোলা হয়েছে তাদের দিকে।
ওই নথিতে ‘বামেদের আত্মবিশ্লেষণ প্রয়োজন’ শীর্ষকে বলা হয়েছে— ২০১৬ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে এবং ২০২১ সালে আইএসএফের সঙ্গে জোট করতে গিয়ে দলের ক্ষতি হয়েছে। দলের রাজ্য সম্পাদক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরীর বয়ানে দলের ওই প্রতিবেদন পেশ করা হয়।
নথিতে বলা হয়েছে, ‘নিছক পাটিগণিতের হিসাব করে মোর্চা গড়া বা আসন সমঝোতা কখনই কাম্য নয়।’ আরও বলা হয়েছে, ‘ভোটে ঐক্যবদ্ধ বামজোট রইল না। কেউ কংগ্রেস, কেউ আইএসএফের সঙ্গে জোট করল। কেউ বা আবার তৃণমূলের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলল। ফলে, ঐক্যবদ্ধ বাম আন্দোলনের সঙ্গে নির্বাচনী জোটের কোনও সামঞ্জস্য রইল না’। নতুন জোটসঙ্গী কংগ্রেস এবং আইএসএফকে গুরুত্ব দিয়ে, তাদের আসন ছাড়তে শরিকি-একতা দুর্বল করতেও পিছ-পা হয়নি কোনও কোনও বাম দল। তাতেই নিচুতলার বাম-ঐক্যে ফাটল ধরে বলে নথিতে দাবি করা হয়েছে। যদিও বামফ্রন্টের মধ্যেই প্রশ্ন আছে যে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বামেদের সঙ্গে কারও জোট হয়নি, অথচ, সে ভোটেও তাদের ভরাডুবি হয়। তা হলে ভোটের ফলের জন্য জোটের দিকে আঙুল তোলা কতটা সঙ্গত?
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফের সঙ্গে জোটের মূল কারিগর ছিল সিপিএম, এমনটাই মনে করছেন আরএসপির নেতারা। যদিও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘নির্বাচনী জোট সব শরিকদের ঐকমত্যেই হয়। তবে আরএসপি তাদের সম্মেলনে কী বলছে, তা নিয়ে কিছু বলার এক্তিয়ার আমার নেই।’’