Calcutta High Court

Calcutta High Court: এ বার হাই কোর্টে ক্রেশ পরিষেবা, সুযোগ পাবেন আদালতে কর্মরতদের শিশুরা

আইনজীবী ভাস্কর প্রসাদ বৈশ্য বলেন, ‘‘এই পরিষেবার ফলে শিশুদের দেখাশোনার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে পারবেন অনেক আইনজীবী ও কর্মী।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২১ ২০:১০
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট ফাইল চিত্র

কলকাতা হাই কোর্টে ক্রেশ সুবিধা চালুর জন্য কর্মী নিয়োগ করল রাজ্য সরকার। শিশুদের পরিচর্যার জন্য এক জন করে শিশু বিশেষজ্ঞ, সহায়তা কর্মী এবং নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের কাছে এই তথ্য তুলে ধরেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।

Advertisement

ক্রেশ পরিষেবা মূলত চালু করা হয় কর্মরতদের শিশুসন্তানদের দেখভাল করার জন্য। অনেকের বাড়িতে শিশু রয়েছে, কিন্তু তাকে দেখাশোনা করার লোক নেই। আবার ওই ব্যক্তিকে কর্মস্থলেও যেতে হয়। ফলে দু’দিক সামলাতে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়। এ কারণে অনেক সংস্থাই নিজেদের ক্যাম্পাসে ক্রেশ পরিষেবা চালু করেছে। বর্তমানে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক দফতরেও এই পরিষেবা আছে। ক্রেশে শিশুদের যাবতীয় পরিচর্যা করা হয়। সেখানে শিশুদের খেলাধুলোর পাশাপাশি খাওয়াদাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে।

কলকাতা হাই কোর্টেও এমন পরিষেবা চালু করার ব্যাপারে ২০১৯ সালে রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল আদালত। পরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণনের ডিভিশন বেঞ্চ, হাই কোর্ট চত্বরে ওই পরিষেবা চালু করতে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দেন। আদালতের ওই নির্দেশ মতো ক্রেশ পরিষেবা চালুর অনুমোদন দেয় রাজ্য। সোমবার রাজ্যের কৌঁসুলি আদালতে সে কথাই জানান। জানা গিয়েছে, হাই কোর্টের পুরনো ভবনের একটি কক্ষে এর জন্য পরিকাঠামো তৈরি করা হবে।

Advertisement

ReplyForward

কলকাতা হাই কোর্টে এই পরিষেবা চালুর ফলে আদালতের সঙ্গে জড়িত কর্মীরা উপকৃত হবেন বলে মত আইনজীবীদের একাংশের। এ নিয়ে আইনজীবী ভাস্কর প্রসাদ বৈশ্য বলেন, ‘‘এই পরিষেবার ফলে শিশুদের দেখাশোনার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে পারবেন অনেক আইনজীবী ও কর্মী। বিশেষ করে এখানে কর্মরত মহিলারা। তাঁদেরকে ঘরে-বাইরে সামলাতে হয়। এ বার তাঁদের কাজ কিছুটা সহজ হবে।’’

অন্য দিকে, আইনজীবী কল্লোল বসুর মতে, ‘‘নিঃসন্দেহে এটা ভাল পদক্ষেপ। কিন্তু সঙ্গে এটাও দেখা দরকার, কত জন এই পরিষেবা নিতে চান। তবে সংখ্যাটা বেশি হলেই ভাল, না হলে অযথা এতে অর্থ খরচের কোনও মানে হয় না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement