DYFI Brigade Rally

ডাক পেলে আসতে রাজি, তবু কেন একলা-চলো ব্রিগেড যুব সিপিএমের? খুশি নয় ফ্রন্ট শরিকেরা

সিপিএমের যুব সংগঠনের যা বোঝাপড়া, তাতে পদযাত্রা ও ব্রিগেড সমাবেশ তারা একক শক্তিতেই করবে। সৌজন্য হিসাবে তারা হয়তো পরে শরিকদলের গণসংগঠনগুলিকে আমন্ত্রণ জানাবে। তার বেশি কিছু নয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:১৫
Share:

৭ জানুয়ারি একক ভাবে ব্রিগেড সমাবেশ ডেকেছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াই এফ আই। —গ্রাফিক সনৎ সিংহ।

সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই একক শক্তিতে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, ৩ নভেম্বর থেকে দু’মাস ব্যাপী ‘ইনসাফ যাত্রা’ হবে। তার সমাপ্তি সমাবেশ হবে ব্রিগেডে। সব ঠিক থাকলে, তার আড়াই মাসের মধ্যেই লোকসভা ভোট। সেই ভোটের মুখে সিপিএমের যুব সংগঠনের একক ভাবে ডাকা ব্রিগেড নিয়ে খুশি নয় বামফ্রন্ট শরিকেরা। অধিকাংশই অবশ্য প্রকাশ্যে মুখ খুলে বিবাদ তৈরির পক্ষপাতী নন। তবে ঘরোয়া আলোচনায় শরিক নেতারা অনেকেই বলছেন, নির্বাচনের মুখে এ ভাবে একক কর্মসূচি করা সঠিক রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নয়। তাঁদের বক্তব্য, একক ভাবে ব্রিগেডে সভা না-করে যদি শরিকদলের গণসংগঠনগুলিকেও শামিল করা যেত, তা হলে বাম ঐক্য এবং সামগ্রিক বাম রাজনীতির পক্ষে তা ভাল হত।

Advertisement

আরএসপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, ‘‘প্রতিটি দলের, প্রতিটি গণসংগঠন তাদের নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি যাচাই করবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভোটের মুখে সেটা করা ঠিক নয়। এটাই যদি নভেম্বর-ডিসেম্বরে হত, তা হলে কিছু বলার থাকত না। কিন্তু ক্যালেন্ডারে নতুন বছর শুরু হওয়া মানে ভোটের বছর শুরু হয়ে যা‌ওয়া।’’

সিপিআইয়ের তরুণ নেতা সৈকত গিরির কথায়, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে প্রাক্কালে বিজেপির বিরুদ্ধে সারা দেশে আমরা সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করছি। এই রাজ্যে বামপন্থীদের লড়াইটা আরও কঠিন। কারণ, এখানে বিজেপি, তৃণমূল উভয়ের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। বামপন্থী দলগুলি যেমন সেই কাজ করছে, তেমন বাম গণসংগঠনগুলিরও ঐক্যবব্ধ থাকার প্রয়োজন রয়েছে। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাস মানে লোকসভা ভোট দোড়গোড়ায়। সেই সময়ে বড় কর্মসূচি যৌথ হওয়াই বাঞ্ছনীয়।’’ সৈকত আরও বলেন, ‘‘ডিওয়াইএফআই স্বাধীন সংগঠন। তারা একক শক্তিতে ব্রিগেড করতেই পারে। কিন্তু সময়টা এমন, যখন সবার একসঙ্গে থাকার কথা। বড় সংগঠন হিসাবে ডিওয়াইএফআইকেই শরিকি ছাত্র-যুব সংগঠনগুলিকে এক সুতোয় বেঁধে রাখার কাজ করতে হবে।’’

Advertisement

সিপিআইয়ের এক বর্ষীয়ান নেতা বলেন, ‘‘আমাদের দলের মহিলা সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্মেলন এ বার আমাদের রাজ্যে হবে। ডিসেম্বরে খড়্গপুরে সেই উপলক্ষে একক সমাবেশ আমরা করব। কিন্তু সিপিএমের যুব সংগঠনের ব্রিগেড আর এই কর্মসূচির মধ্যে ফারাক রয়েছে। সময়টাও গুরুত্বপূর্ণ।’’ ফরওয়ার্ড ব্লকের এক শীর্ষ নেতা অবশ্য আশা প্রকাশ করেছেন, বাম গণসংগঠনগুলিকে হয়তো পরে আমন্ত্রণ জানাবে সিপিএমের যুব সংগঠন।

যদিও সিপিএমের যুব সংগঠনের এখনও যা বোঝাপড়া, তাতে পদযাত্রা ও ব্রিগেড সমাবেশ তারা একক শক্তিতেই করবে। সৌজন্য হিসাবে তারা হয়তো পরে শরিকদলের গণসংগঠনগুলিকে আমন্ত্রণ জানাবে। কিন্তু তার বেশি কিছু নয়। সিপিএম সূত্রে খবর, যুব সংগঠনের ব্রিগেড হলেও আসলে গোটা দলই নামবে। তবে সিপিএম নেতারাও চাইছেন শরিকদের ‘খারাপ লাগা’ দূর করতে। এ ব্যাপারে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ভরসা এক এবং একমাত্র বিমান বসুই। যাঁকে বয়সের কারণে দলের সব কমিটি থেকে সরে যেতে হলেও শরিকদের অনুরোধে এখনও বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান পদে থেকে যেতে হয়েছে ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement