বেকারি-বিরোধী দিবসে কলকাতার পথে ডিওয়াইএফআই। প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে নিয়োগ-দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে পথে নামল সিপিএমের যুব সংগঠন। প্রতি বছরই এই দিনে বেকারি-বিরোধী দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি নেয় তারা। বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে নিয়োগ ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগও এ বার হাতিয়ার হয়েছে ডিওয়াইএফআইয়ের। রাজ্যের সব জেলাতেই মঙ্গলবার রাস্তায় নেমেছিল তারা। কলকাতায় মিছিল ছিল ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত। মিছিলে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। যুব সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব ছিলেন কলকাতার মিছিলে।
শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এখন নিয়োগ-দুর্নীতির আবহে বামেদের পাল্টা নিশানা করছে। মিছিল শেষে সেই প্রসঙ্গে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কাউকে মুখপাত্র করে কেউ যদি ভাবে নতুন নতুন কথা বলে নজর ঘুরিয়ে দেবে, তা হবে না। আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার। সরকার আছে, প্রশাসন আছে আপনাদের। অভিযোগ থেকে থাকলে তদন্ত করুন। আদালতে যান। আমরা তৈরি আছি।’’ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির প্রতিবাদ থেকে তাঁদের সরে আসার কোনও প্রশ্ন নেই বলেও মীনাক্ষী ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গেই থাকবে দ্রুত, স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি।
রাজ্যবাসীর স্বার্থে আঘাত করে কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে বাংলায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ বন্ধ করেছে এবং তৃণমূল সরকার যে ভাবে ‘সর্বাত্মক দুর্নীতি’তে জড়িয়ে পড়েছে, তার প্রতিবাদে এ দিন থেকেই বামফ্রন্ট তিন দিনের কর্মসূচিতে নেমেছে। তবে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, শহিদ মিনার ময়দানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য আজ বামেদের মিছিলকে ধর্মতলার দিকে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঠিক হয়েছে, এন্টালির রামলীলা পার্ক থেকে শুরু হয়ে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রোড ধরে মিছিল এগিয়ে পার্ক স্ট্রিট ধরে পার্ক সার্কাসে লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজের সামনে শেষ হবে। মিছিলের পরে সেখানেই সভা হবে। সরকারি কর্মীদের অবস্থান চলা সত্ত্বেও তৃণমূল শহিদ মিনার ময়দানে সভা করতে পারবে কিন্তু তাঁরা ধর্মতলা চত্বরে যেতে পারবেন না কেন, সেই প্রশ্ন তুলছেন বাম নেতৃত্ব।