পঞ্চায়েতে মহিলা বাহিনী তৈরিতে নজর সিপিএমের। ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড় ভূমিকা নিতে পারেন মহিলারা। সে কথা মাথায় রেখেই এ বারের পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রস্তুতি নিচ্ছে সিপিএমের মহিলা সংগঠন। পঞ্চায়েতে চুরি-দুর্নীতির অভিযোগের প্রতিবাদে যে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছে বামেরা, তাতে শরিক হওয়ার পাশাপাশিই গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি সাংগঠনিক ভাবে নিজেদের সক্রিয়তা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে।
রাজ্যে পঞ্চায়েতের অর্ধেক আসনই মহিলাদের জন্য বরাদ্দ থাকে। স্বভাবতই পঞ্চায়েত স্তরে নির্ণায়ক ভূমিকা নেওয়ার সুযোগ থাকে মহিলাদের। কিন্তু হামেশাই দেখা গিয়েছে, ‘উপযুক্ত’ মহিলা মুখ খুঁজে না পেয়ে এলাকার নেতাদের পরিবারের মহিলা সদস্যদের ওই ধরনের আসনে প্রার্থী করে দেওয়া হয়েছে। মহিলা আসন কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক লড়াই যাতে আরও তীব্র করা যায়, সেই বিষয়টি এ বার উঠে আসতে চলেছে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্মেলনে। তৃণমূল স্তরে মহিলাদের রাজনৈতিক ভাবে আরও সচেতন করা এবং ‘সক্রিয়’ মহিলা কর্মীদেরই প্রার্থী করার চর্চা চলছে সংগঠনের অন্দরে। সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী অঞ্জু ঘোষ এবং রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষের বক্তব্য, পঞ্চায়েতে মহিলাদের ভূমিকা কার্যকরী করে তোলার পথ নিয়ে আসন্ন সম্মেলনে আলোচনা হবে। তারই পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে লুট, চুরি, দুর্নীতি, কাটমানি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আরও তীব্র করার আহ্বান জানানো হবে।
হুগলি জেলার চন্দননগরে কাল, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির ২৯তম রাজ্য সম্মেলন। চন্দননগরের রবীন্দ্র ভবনে রাজ্য সম্মেলনের উদ্বোধন করার কথা মহিলা সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মারিয়ম ধওয়েলের। সম্মেলন উপলক্ষে সমাবেশে থাকার কথা সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য বৃন্দা কারাট, মহিলা সংগঠনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মালিনী ভট্টাচার্য, দেবলীনা হেমব্রম, বিকাশ ভট্টাচার্য, মারিয়মদের। সম্মেলন চলবে আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তার পরে আগামী ৬ থেকে ৯ জানুয়ারি কেরলে হবে সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্মেলন।
‘সবার কাছে যাও, পরিধি বাড়াও’— এই আহ্বানকে এ বার সামনে রাখা হচ্ছে রাজ্য সম্মেলনে। পরিবেশ, কর্মসংস্থান এবং মাইক্রোফিন্যান্সের মতো বিষয়ে প্রস্তাব এনে আলোচনা হবে। অঞ্জু, কনীনিকাদের বক্তব্য, রাজ্যে নারী নির্যাতন বেড়ে যাওয়া এবং দেশ জুড়ে আরএসএস-বিজেপির বিভাজনের নীতি ও মনুবাদী সংস্কৃতি কায়েম করতে চাওয়ার মোকাবিলা নিয়ে অবধারিত ভাবেই মতামত উঠে আসবে।