মহম্মদ সেলিম। ফাইল চিত্র।
সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু এবং সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা শ্যামল চক্রবর্তী করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বার করোনা পজ়িটিভ পাওয়া গেল দলের পলিটব্যুরো সদস্য এবং প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিমের রিপোর্টও। তিনিও ই এম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সোমবার সন্ধ্যায়। দলের কয়েক জন নেতা পরপর করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সিপিএমের গোটা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী এবং আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের রাজ্য দফতরের কর্মীদের পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।
সেলিম এ দিন টুইট করে জানিয়েছেন, তাঁর করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মৃদু উপসর্গ আছে আমার। চিকিৎসকের পরামর্শেই আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আমার আশেপাশের লোকজন যাতে সংক্রমিত না হন, সেটাও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অন্যতম কারণ।’’ এই কয়েকটি ঘটনার প্রেক্ষিতেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা চিকিৎসক সূর্যকান্ত মিশ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যেরা এবং দলের রাজ্য দফতরের কর্মীরা করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। সরকারি ল্যাবের সঙ্গে কথা বলেই নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা হয়েছে। রিপোর্ট শেষ পর্যন্ত যেমনই আসুক, রাজ্য দফতরে যাতায়াতকারী সব নেতাকেই কিছু দিন বাইরে ঘোরাফেরা বন্ধ রেখে পর্যবেক্ষণে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সূর্যবাবু। মাঝে পুরোপুরি অনলাইন হলেও সম্প্রতি রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর দু-একটি বৈঠকের জন্য সপ্তাহে এক দিন হলেও আলিমুদ্দিনে এসেছিলেন নেতারা। সেই জন্যই বাড়তি সতর্কতা।
শ্যামলবাবুর অবস্থা এখন স্থিতিশীল তবে অক্সিজেনের সাহায্য এখনও লাগছে। তাঁর কন্যা এবং বাড়ির বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অনাদিবাবুও স্থিতিশীল। করোনা ধরা পড়েছিল চিকিসক ফুয়াদ হালিমেরও। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় তাঁকে অবশ্য হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুজোর দিনে বঙ্গে লকডাউন, ক্ষুব্ধ বিজেপি
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)