RG Kar Medical College and Hospital Incident

পুজোর স্টলে প্রতিবাদের বার্তা দিতে চায় সিপিএম

আর জি করের তরুণী চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে এই বুক স্টলে। ‘তিলোত্তমার জন্য..’ রং-তুলিতে বিদ্রোহের উৎসব— নামে থাকছে চিত্রাঙ্কন কর্মসূচি।

Advertisement

অনির্বাণ দাশগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:২৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পুজোয় বইয়ের স্টল সিপিএম তথা বামেদের দীর্ঘ দিনের রেওয়াজ। কলকাতা শহরে সিপিএমের স্টলগুলির মধ্যে অন্যতম নজরকাড়া বিপণি যাদবপুরের এইট বি-র স্টল। আর জি কর কাণ্ডের আবহে এ বার সেই স্টল অন্য মাত্রা পাবে বলে মনে করছেন সিপিএম নেতৃত্ব।

Advertisement

আর জি করের তরুণী চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে এই বুক স্টলে। ‘তিলোত্তমার জন্য..’ রং-তুলিতে বিদ্রোহের উৎসব— নামে থাকছে চিত্রাঙ্কন কর্মসূচি। আর জি কর-কাণ্ডের উপরে ছোট থেকে প্রাপ্তবয়স্ক, সকলের কাছে আঁকা চাওয়া হয়েছে। স্কেচ, পেন্ট বা যে কোনও ধরনের হাতে আঁকা ছবির এইচডি ফোটো তুলে উদ্যোক্তাদের কাছে পাঠাতে হবে। ওই ছবি দিয়ে এ বারের বইয়ের স্টল সাজানো হবে। এইট বি-র স্টলটির লাগোয়া অংশের নাম দেওয়া হবে ‘তিলোত্তমা চত্বর’। আগামী ৭ অক্টোবর স্টলের উদ্বোধন করার কথা প্রবীণ সিপিএম নেতা বিমান বসুর।

সিপিএম সূত্রের খবর, গোটা রাজ্য জুড়েই পুজোর বই-বিপণিতে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ ফুটে উঠতে পারে। জেলায় এই স্টল খোলার দায়িত্ব থাকে এরিয়া কমিটির। তারাই প্রতিবাদের ছবি তুলে ধরার দায়িত্ব নেবে। কলকাতা জেলার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় ১১৫টি স্টল থাকবে। তার মধ্যে পার্ক সার্কাস, কলেজ স্কোয়্যার বা বাগবাজার অন্যতম উল্লেখযোগ্য। সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘পুজোয় বইয়ের বিপণির মাধ্যমে যেমন আমাদের মতাদর্শের কথা প্রচার করা হয়, তেমনই চলতি সময়ের আন্দোলন-সংগ্রামের প্রসঙ্গও আসে। এখনকার সময়ে আর জি করের ঘটনা বড় প্রতিবাদের বিষয়। সংশ্লিষ্ট এরিয়া কমিটি পুজোর স্টলে সেই আন্দোলনের বার্তা তুলে
ধরতেই পারে।’’

Advertisement

পুজোর মরসুমে সচরাচর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিরতি থাকে। তবে এ বারের পরিবেশ অন্য রকম। সিপিএম নেতৃত্ব চাইছেন, বুক স্টলকে কেন্দ্র করেই পুজোর দিনগুলিতে আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদের বার্তা থাকুক। প্রতিটি ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে সরগরম হয়েছে এইট বি অঞ্চল। বইয়ের স্টলকে ঘিরে এ বারও পুজোর দিনগুলিতে আমজনতার ব্যাপক সাড়া মিলবে বলে আশা করছেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সভা-মিছিলে যে স্লোগান উঠে এসেছে, তা-ও স্টলে থাকবে।
পুজোর দিনগুলিতে প্রতিটি সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষও যাতে শামিল হন, আমাদের সেই
প্রচেষ্টাও থাকবে।’’

তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষের অবশ্য কটাক্ষ, ‘‘উৎসবে নেই। কিন্তু উৎসবের জনসমুদ্রের ছোঁয়া নেওয়ার চেষ্টায় মণ্ডপের কাছাকাছি স্টল খুলে বসে থাকব! এরা
অদ্ভুত প্রজাতি!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement