—প্রতীকী ছবি।
নানা রকম চেষ্টা করেও বাংলায় শূন্যের গেরো কাটছে না! লোকসভা নির্বাচনে এ বারও রাজ্যে প্রত্যাশিত ফলের ধারেকাছে পৌঁছনো যায়নি। এই পরিস্থিতিতে এ বার নিজেদের কাজের পর্যালোচনায় দলের বাইরে থেকেও মতামত নেবে সিপিএম। নির্বাচনী ফলের সাংগঠনিক পর্যালোচনার সঙ্গে বাইরের লোকজনের মতামত পাশাপাশি রেখে আত্মসমীক্ষা করতে চান সিপিএম নেতৃত্ব। তার প্রেক্ষিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে।
ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণের জন্য সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক বসছে আগামী ১৯-২০ জুন। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক রয়েছে ২৮ থেকে ৩০ জুন। তার আগে এখন জেলায় জেলায় নির্বাচনের ফলের প্রাথমিক কাটাছেঁড়া করছেন সিপিএম। মুর্শিদাবাদ জেলায় এমনই বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার বহরমপুরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘নির্বাচনী পর্যালোচনা ও পরিস্থিতি বিশ্লেষণ তিন ভাবে হবে। পার্টি ও সংগঠন একটা করবে। জেলা থেকে রাজ্য কমিটি হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সেটা শেষ করব। তা ছাড়াও, যাঁরা সিপিএম করেন না কিন্তু আমাদের দরদী, নির্বাচনের আমাদের সহযোগিতা করেছেন, নানা ভাবে ভূমিকা পালন করেছেন, তাঁদের মতামত, আলোচনা সমালোচনা, পরামর্শ আমরা শুনব। আবার যাঁরা কাছাকাছি থেকে নির্বাচনটা অনুসরণ করেছেন, খবর নিয়েছেন দিয়েছেন, নিজেরা রাজনীতি না করলেও মত থাকে, বা অন্য রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন, তাঁদের সঙ্গে আদানপ্রদান করে মতামত নেওয়া হবে।’’ সেলিমের কথায়, ‘‘এই তিন ভাবে যে তথ্য উঠে আসবে, তার উপরে দাঁড়িয়ে পরবর্তী সংগঠনিক এবং রাজনৈতিক পদক্ষেপ স্থির হবে।’’
নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে প্রার্থী বাছাই করে নির্বাচনী ময়দানে নেমেও সাফল্য না পাওয়ায় বাম শিবিরের অন্দরে ফের হতাশা এসেছে। সেই পরিস্থিতি মাথায় রেখেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বার্তা দিয়েছেন লড়াই জারি রাখার। সেলিমের বক্তব্য, ‘‘বিভিন্ন দাবি আদায়ে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই জারি থাকবে। যাঁরা এখন সমর্থন করলেন না, ভবিষ্যতে তাঁরা যাতে করেন, তার উপযুক্ত করে নিজেদের গড়ে তোলার চেষ্টা করব।’’