ফাইল চিত্র।
ঠিক ছিল, ভাইফোঁটার পরে গণসংগঠনের ছাতায় পদযাত্রায় নামা হবে। কিন্তু উৎসবের মরসুমে আরও আগেই সিপিএমকে পথে নামার সুযোগ করে দিল বিজেপি!
কেরলে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে বামেদের সংঘর্ষ তীব্র। অমিত শাহদের কেরল যাত্রার পরে দু’তরফের তরজা আরও জোরদার হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, কেরলে হিংসায় নেমেছে গেরুয়া শিবিরই। সেই সঙ্গে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটের আগে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে জোট বেঁধে হামলায় নেমেছে তারা। দিল্লিতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। ওড়িশাতেও লাল পতাকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। বিজেপি এবং আরএসএসের এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আগামী ৯ অক্টোবর দেশ জু়ড়ে প্রতিবাদ দিবসের ডাক দিয়েছে সিপিএম। এ রাজ্যেও বৃহস্পতিবার থেকেই এলাকায় এলাকায় প্রতিবাদ করে ৯ তারিখ কেন্দ্রীয় ভাবে কর্মসূচি পালন করার কথা বলেছে তারা।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গেও শাসক দলের সঙ্গে বোঝাপড়ায় ও মদতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করে চলেছে গেরুয়া শিবির। তাই এ রাজ্যেও প্রতিবাদ হবে। সূর্যবাবু এ দিন বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক এই শক্তি যদি রাজ্যের কোথাও আমাদের পার্টির দফতরে হামলা চালানোর চেষ্টা করে, তবে স্থানীয় মানুষজনকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিরোধ করতে হবে। মিছিল, হাটসভা, পথসভা ইত্যাদির মাধ্যমে এ রাজ্যের বামপন্থী আন্দোলনের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বুঝিয়ে দিতে হবে, লাল পতাকাকে ধ্বংস করার চেষ্টায় হিটলারও সফল হননি! আজকের আক্রমণকারীরাও সফল হবে না।’’ এই প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমেই পদযাত্রার আগে পথে নেমে পড়ছে সিপিএম।